একাধিক খাবারে ধনেপাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেটা ডাল হোক বা মাছের ঝোল, মাংস কষা হোক কিংবা অন্যান্য কোনও আমিষ বা নিরামিষ তরকারি সবেতেই সামান্য পরিমাণে ধনেপাতা কুচি দিলেই গন্ধটাই পাল্টে যায়। এছাড়া সঙ্গে ধনেপাতার চাটনি তো আছেই। সেটাও দারুন উপাদেয়। এছাড়া ফুচকা, আলুকাবলি, চুরমুর, এসবেও ধনেপাতা দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে সহজে বলতে বাঙালির অনেক খাবারে ধনেপাতা পড়ে, এবং এটা ছাড়া অনেক খাবারই অসম্পূর্ণ।
এই পাতাটিকে যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনই এর গন্ধ। শীতকালে অনেকেই বাড়িতে এই পাতার চাষ করেন। বারান্দার টবে, কিংবা ছাদ বাগানে। অন্যদিকে বাজারে তো বারোমাস এই পাতা পাওয়া যায়। আর দামও বেশ সস্তার মধ্যেই থাকে।
ধনেপাতা যে কেবল খাবারের স্বাদ বা গন্ধ বাড়ায় এমনটা নয়। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন এ, বি এবং সি। সঙ্গে আছে ভিটামিন কে এর মতো পুষ্টিগুণ। ফলে এটা আমাদের শরীর ভালো রাখতে একাধিক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধনেপাতার বীজ নানান কাজে ব্যবহৃত হয়। এটা রান্নাতেও দেওয়া হয়ে থাকে ।
ধনেপাতা বিভিন্ন ধরনের খাবার গার্নিশ করতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া স্যালাড, বা মাছ, মাংসের উপর দিয়ে কয়েকটা পাতা ছড়িয়ে দিয়ে দারুন লাগে দেখতে। অনেকে আবার ডালে ধনেপাতার ফোড়ন দেয়। তার কারণে ডালে আলাদা স্বাদ যোগ হয়।
ধনেপাতা সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, এবং আমাদের শরীরকে সক্রিয় ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া এটা আমাদের এনজাইমকে সক্রিয় রাখে। মূত্রবর্ধক হিসেবেও ধনেপাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ধনেপাতার সাহায্যে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম দূর করা যায়। এছাড়া এটি কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। এবং খারাপ কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে ধনেপাতা। এছাড়া ধনেপাতা হার্ট ভালো রাখে। ফলে যাঁদের হার্টের সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত এই পাতা খান। কোনও না কোনও তরকারিতে দিয়ে সেটা খান। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ধনেপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের মধ্যে থাকা কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আমাদের ভালো রাখে। একই সঙ্গে এটা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে এই পাতা যে কেবল রান্নার স্বাদ বাড়ায়, এমনটা মোটেই নয়। একই সঙ্গে এটা আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্য দুই ভালো রাখে।