মাংস বা নোনতা খাবার খাওয়ার পরে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়াটা মোটেই বিরল কিছু নয়। বিশেষ করে নিমন্ত্রণ বাড়িতে খেতে গেলে তো অনেকেই এই জাতীয় খাবার খান। বিশেষ করে দুগ্ধজাত মিষ্টি, দই বা পায়েস তো অনেকেই খান। কিন্তু তাতে শরীরের উপর কেমন প্রভাব পড়ে? কেন এটি করতে বারণ করা হয়েছে আয়ুর্বেদে?
সাধারণত যে কোনও আমিষ পদই বেশি মাত্রায় নুন দিয়ে রান্না করা হয়। আর যত সমস্যা এই নুন নিয়েই। কারণ নুনের সঙ্গে দুধের সরাসরি বৈরিতা আছে বলে মনে করে আযুর্বেদ। এই কারণেই এই পদ একসঙ্গে খাওয়া বা একটির পরে আর একটি খাওয়াকে ‘বিরুদ্ধ আহার’ও বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। (আরও পড়ুন: সজনে খান? জানেন, এই আনাজটি সম্পর্কে আয়ুর্বেদে কী বলা হয়েছে)
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ নিকাতা কোহলি বলেছেন, নোনতা খাবার আর দুগ্ধজাত খাবার কখনও একসঙ্গে বা পরপর খাওয়া উচিত নয়। এর হজমের সমস্যা থেকে ত্বকের সমস্যা— অনেক কিছুই হতে পারে। (আরও পড়ুন: অশোক ষষ্ঠীতে অশোক ফুল আর বীজ খাওয়ার নিয়ম, এটি কি শুধুই রীতি নাকি এর গুণও আছে)
কেন এই সমস্যা হয়? নিকিতা বলছেন, আমিষ খাবার হজমের প্রক্রিয়া আর দুগ্ধজাত পদ হজমের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা। ফলে এই দু’ধরনের খাবার পর পর খেলে সমস্যা হতে পারে। তার সঙ্গে নুন আর দুধ একেবারের পরস্পর বিরোধী। এগুলি একটির পরে একটি খেলেও সমস্যা হতে পারে।
কী কী সমস্যা হতে পারে এতে? নিকিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সম্পর্কে আভাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন:
- পেটে ব্যথা হতে পারে
- বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট হতে পারে
- হজম ক্ষমতা অনেকটাই কমে যেতে পারে
- পেটে গ্যাস হয়
- আলসারের সমস্যা বাড়ে এতে
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়তে পারে
- ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এর ফলে
দু’ধরনের খাবারের মাঝে কত ক্ষণ সময়ের ব্যবধান রাখা উচিত? নিকিতা জানিয়েছেন, অন্তত ২ ঘণ্টা। আগে আমিষ পদ বা নোনতা খাবার খাওয়া উচিত। ২ ঘণ্টায় সেগুলি মোটামুটি হজম হয়ে যায়। তার পরে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত।