অনেক বাবা মা, মূলত যাঁরা প্রথমবার মা বাবা হয়েছেন তাঁরা বুঝতে পারেন না যে সন্তানকে কী শেখাবেন, কখন শেখাবেন, কীভাবে মানুষ করবেন, ইত্যাদি। অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ই তাঁদের অজানা থাকে। ফলে একটা সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু সন্তান মানুষ করার সময়, মূলত তাঁদের কিছু শেখানোর ক্ষেত্রে মনে রাখবেন শিশুরা ছোট বয়স থেকেই তাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে। সে যা দেখে তাই শেখে। তাই তাকে কিছু শেখানোর হলে সুস্থ পরিবেশ দিন সবার আগে, এছাড়া নিজেরা এমন কাজ করুন যা দেখে সে অনুপ্রাণিত হতে পারে। এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন একদম ছোট বয়স থেকে আপনার সন্তানকে কী শেখাবেন আর কী নয়।
১. শিশু মানেই কম বেশি দুরন্ত হবেই। দুষ্টুমিও করবে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন তার দুষ্টুমি যেন কারও অসুবিধার কারণ না হয়। বা সে যেন কারও ক্ষতি না করে।
২. খুব ছোটবেলায় তাকে দুটো শব্দ শিখিয়ে দিন, প্লিজ বা দয়া করে এবং থ্যাংক ইউ বা ধন্যবাদ। এই শব্দ দুটো তাকে বিনয়ী হতে শেখাবে।
৩. ভাগ করে নিতে শেখান। খাবার হোক, বা খেলার পুতুল কিংবা পড়াশোনার সামগ্রী- সঙ্গীদের সঙ্গে ভাগ করতে শেখান।
৪. যখন কোনও দুজন ব্যক্তি কথা বলছে তার মাঝে যেন সে ব্যাঘাত না ঘটায় বা তার কারণে তখন যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেটা শেখান।
৫. তাকে বোঝান সে যেন কখনই কারও দৈহিক গঠন বা গড়ন বা কোনও অক্ষমতা নিয়ে যেন মন্তব্য না করে। বুলিং বিষয়টা তাকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিন।
৬. অনুমতি নিতে শেখান সন্তানকে। আর কেউ অনুমতি না দিলে কোনও কাজে সেটার সম্মান রাখতেও শেখান।
৭. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শেখান সন্তানকে।
৮. স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করুন। কী করণীয় আর কী নয় সেই বিষয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা দিন তাকে।
৯. গোপনীয়তা বিষয়টি বোঝান। এটা কতটা জরুরি তার মর্ম জানা উচিত।
১০. খাবার টেবিলে কী করে ভদ্রতা বজায় রাখতে হয় সেটাও খুব ছোট বয়সেই সন্তানকে শিখিয়ে দিন।
১১. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে শেখান। এটা ভালো থাকার জন্য যে জরুরি সেটা বোঝান।
১২. কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে প্রতিযোগী মনোভাব রাখতে শেখান, কিন্তু জিততেই হবে, সেটাই সব এই ধারণা তার modhy ঢুকিয়ে দেবেন না।