সন্তানধারণের চেষ্টা করছেন? কিন্তু কিছুতেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না? কোনও না কোনও কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছেই? বারবার চেষ্টা করেও বিফল হচ্ছেন? তাহলে আপনার খাদ্যাভাসে কিছু বদল আনা জরুরি। একটা সুস্থ জীবন যাপন করা সঙ্গে যৌন জীবন সঠিক রাখা উচিত। এবং তার সঙ্গে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন খাবার কিন্তু আমাদের যে কোনও সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। যেমন সঠিক খাবার সঠিক পরিমাণে খাবেন তেমনই যথাযথ ঘুম, স্ট্রেসফ্রি জীবন খুব দরকার হয়ে থাকে গর্ভধারণ করার জন্য।
ফার্টিলিটি ডায়েট মেনে চললে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়। এই ফার্টিলিটি ডায়েট বলতে অরগ্যানিক সবজি, ফল, মাছ, মাংস, শস্য, ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এবং সচেতন ভাবে যে কোনও ফাস্ট ফুড বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত। ফার্টিলিটি ফুড কেন খাওয়া? কারণ এটি পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। অন্যদিকে মহিলাদের ডিম্বস্ফোটনে সাহায্য করে এটি। বন্ধ্যাত্ব খাবারের মাধ্যমে দূর করা যায় না। কিন্তু সন্তানধারণের সম্ভাবনা খাবারের মাধ্যমে বাড়ানো যেতে পারে। দেখে নিন কোন খাবার খেলে সেটা সম্ভব হবে।
পাঁচটি ফার্টিলিটি ফুড:
১. স্যালমন: এটাকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে কারণ এর একাধিক গুণাগুণ আছে। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সঙ্গে এটি পুরুষ মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম, ইত্যাদি শক্তিশালী শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে।
২. ডিম: ফার্টিলিটি বাড়াতে যে ভিটামিন বির দরকার সেটা ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এটা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া এতে অন্যান্য পুষ্টির সঙ্গে কোলিন পাওয়া যায় যা আমাদের একটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক প্রেগন্যান্সি পেতে সাহায্য করে।
৩. আখরোট: আখরোট আমাদের সন্তানধারণের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আছে ওমেগা ৩, যা আমাদের ফার্টিলিটি বাড়ায়।
৪. সূর্যমুখীর বীজ: সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ভিটামিন ই যা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এতে রয়েছে ফোলেট, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ইত্যাদি।
৫. ডাল এবং বিনস: এই দুটোতেই আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা ওভুলেশন সাইকেলে সাহায্য করে থাকে।
এছাড়া যখন আপনি সন্তানধারণের চেষ্টা করবেন তখন নিজেকে স্ট্রেস মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। যখন দেখবেন পরিস্থিতি আপনার হাতে নেই, বুঝে শুনে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। অকারণ টেনশন করবেন না।