বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Generic medicines prescribe: জেনেরিক ওষুধ না লিখলেই ডাক্তারদের শাস্তি! রোগীদের খরচ কমতে পারে ৮০% পর্যন্ত

Generic medicines prescribe: জেনেরিক ওষুধ না লিখলেই ডাক্তারদের শাস্তি! রোগীদের খরচ কমতে পারে ৮০% পর্যন্ত

চিকিৎসকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা দিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)

Generic medicines prescribe: জেনেরিক ওষুধ না লিখলেই চিকিৎসকদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। কড়া নির্দেশিকা জারি করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। যে পদক্ষেপের ফলে ওষুধের ক্ষেত্রে রোগীদের খরচ ৮০% পর্যন্ত কমতে পারে।

প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধের নাম লিখতে হবে। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করলে চিকিৎসকদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমনকী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। নয়া নির্দেশিকা জারি করে এমনই কঠোর বিধানের কথা জানাল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন)। সেইসঙ্গে কমিশনের নয়া নির্দেশিকর ব্র্যান্ডেড জেনেরিক ওষুধ নাম না লেখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে নিয়মের ফলে রোগীরা অনেকটা সস্তায় ওষুধ কিনতে পারবেন বলে বিশেষজ্ঞদের মতে। কারণ কোনও ব্র্যান্ডের ওষুধের তুলনায় জেনেরিক ওষুধের দাম ৩০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়ে থাকে। অনেকটা সাশ্রয় হবে তাঁদের।

আরও পড়ুন: ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে উপহার নয়, ওদের টাকায় ঘুরতে যাবেন না, চিকিৎসকদের নয়া বিধি জানাল NMC

এমনিতে রোগীদের প্রেসক্রিপশনে শুধুমাত্র জেনেরিক ওষুধের নাম লিখতে হয় চিকিৎসকদের। কিন্তু ২০০২ সালে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তাতে কোনও শাস্তির বিধান ছিল না। এবার নয়া নিয়মে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন ঠিক সেই বিষয়টা যুক্ত করেছে। চিকিৎসদের পেশাদারি আচরণ নিয়ে ২ অগস্ট কমিশনের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যের কারণে ভারতে মানুষের যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, সেটার একটা বড় অংশ ওষুধ কিনতে বেরিয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের জেনেরিক ওষুধের নাম লেখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন: Doctors' guidelines: ডাক্তারকে গালিগালাজ, মারধর? সাবধান! বিপদে জুটবে না চিকিৎসা, মিলল লাইসেন্স, তবে…

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় জেনেরিক ওষুধের দাম ৩০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ সস্তা হয়। তাই (চিকিৎসকরা) জেনেরিক ওষুধ প্রেসস্ক্রাইব করলে স্বাস্থ্যসেবা খাতে খরচ অনেকটা কমে যেতে পারে এবং আরও ভালো চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ বাড়াবে।’ সেইসঙ্গে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অযথা ওষুধ না দেওয়া এবং অকারণে স্রেফ নির্দিষ্ট মাত্রার সংমিশ্রণের ওষুধ যেন না দেন চিকিৎসকরা। যুক্তিযুক্তভাবে সবকিছু বিবেচনা করে ওষুধ দিতে হবে তাঁদের। 

আর নিয়ম লঙ্ঘন হলে চিকিৎসকদের প্রাথমিকভাবে সতর্কবার্তা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নিয়ম লঙ্ঘনকারী চিকিৎসদের কোনও ওয়ার্কশপে যোগ দিতে হতে পারে। বারবার নিয়ম লঙ্ঘন করলে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য চিকিৎসকদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, পেটেন্ট বা স্বত্ব নেওয়া ওষুধকে ব্র্যান্ডেড জেনেরিক ওষুধ বলা হয়। যা নির্দিষ্ট ওষুধ সংস্থা প্রস্তুত করে এবং ব্র্যান্ডের নামে সেই ওষুধ বিক্রি করা হয়। আর যে ওষুধের পেটেন্ট থাকে, তা ১৫ বছর পরে জেনেরিক ওষুধের তকমা পেয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে রাসায়নিক সংমিশ্রণ না পালটে সেই ওষুধ তৈরি করতে পারে অন্য যে কোনও সংস্থা। 

বন্ধ করুন