ক্লান্ত বোধ করলে অনেকেরই আঙুল ও পায়ের আঙুল ফাটতে শুরু করে। আঙুল ভাঙতে দেখে বাড়ির বড়রা দ্রুত থমকে যান। তারা মনে করেন, এই অভ্যাস ভালো নয়। সেই সঙ্গে অনেকে মনে করেন আঙুল ফাটলে বৃদ্ধ বয়সে ব্যথা হতে পারে বা বাতের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে। তবে জেনে নিন এ বিষয়ে চিকিৎসক ও গবেষণা কী বলছে।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে আপনি যখন আপনার আঙুলগুলি টানেন তখন কেন কর্কশ শব্দ হয়? আসলে আমরা যখন আঙুলের জয়েন্টগুলোতে টান দিই তখন জয়েন্টগুলোর মধ্যবর্তী তরল পদার্থের চাপ কমে যায় এবং সেই তরলে দ্রবীভূত গ্যাসে বুদবুদ তৈরি হয়। আঙ্গুলগুলিতে চাপ প্রয়োগ করার সাথে সাথে এই বুদবুদগুলি ফেটে যায় এবং একটি ক্র্যাক শব্দ প্রকাশিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ক্যাভিটেশন। যখন আমরা আমাদের আঙ্গুলগুলি স্ন্যাপ করি, তখন এই তরলটিতে গ্যাসটি আবার দ্রবীভূত হতে কমপক্ষে আধ ঘন্টা সময় লাগে। এর অর্থ হ’ল আপনার আঙুলগুলি আবার স্ন্যাপ করতে কমপক্ষে আধ ঘন্টা প্রয়োজন।
আঙুল ফাটলে আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে, তা হলে তা সম্পূর্ণ ভুল। আঙুল ফাটানো আর্থ্রাইটিস বা আর্থ্রাইটিসের সাথে মোটেও সম্পর্কিত নয়। মেডিকেল নিউজ টুডেতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালে ২১৫ জনের ওপর গবেষণা করা হয়। যার মধ্যে ২০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন আঙুল তোলেন। এই গ্রুপের প্রায় ১৮.১ শতাংশ লোকের হাতে আর্থ্রাইটিস ছিল। যেখানে ২১.৫ শতাংশ মানুষ আঙুল মারেননি। সমীক্ষায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে আঙ্গুলগুলি স্ন্যাপ করা এবং না ফেলা উভয় ব্যক্তির মধ্যে একই ঝুঁকি। আঙুল কেটে ফেলুক বা না করুক।
বারবার আঙুল ছিঁড়ে গেলে যা হয়
বারবার আঙুল ফাটালে জয়েন্টগুলোতে ফোলাভাব বা ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় হাতের মুঠি দুর্বল হতে শুরু করে। এ নিয়ে কোনো গবেষণা না থাকলেও বারবার আঙুল তোলার অভ্যাস কখনো কখনো মানসিক সমস্যার রূপ নেয়। এর থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।