অনেকেরই বিছানায় শোয়ার পর অনেকক্ষণ কেটে গেলেও ঘুমের দেখা মেলে না। এটা সেটা ভাবনা এসে জড়ো হয়। কত কীই ভেবে চলেন। এমনই কী এই প্রতিবেদক নিজেও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। শোয়ার প্রায় আধ থেকে ঘণ্টার মধ্যে ঘুমের দেখা মিলত না। এক কথায় যাকে বলে নাইট ইনসমনিয়ার শিকার হয়েছিলাম। জানি আপনাদের মধ্যেও অনেকেই এই সমস্যার শিকার। আর এটার কারণেই মুড বিগড়ে থাকা থেকে, কাজে মনোসংযোগ না করতে পারার মতো নানান সমস্যা দেখা দেয়। ফলে এটা দ্রুত মেটানো প্রয়োজন।
কোন উপায়ে এই দেরি করে ঘুমানোর হাত থেকে রক্ষা পাবেন, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
বার্ধক্যজনিত কারণ, কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ঘুম আসতে চায় না। ইনসমনিয়া, স্লিপ অ্যাপনিয়া, ইত্যাদি হয়। অনেকে আবার সকালে অফিস ডেস্ক কিংবা কলেজে সুন্দর ঘুমিয়ে পড়তে পারেন, বাস, ট্রেনেও বাদ যায় না। কেবল রাতেই ঘুম বাবাজীবনের দেখা পান না। ফলে ঘুম নিয়ে নানান সমস্যা হয়। এবার দেখা সেগুলো মেটানোর উপায়।
রাতে জলদি ঘুমাতে চাইলে মেনে চলুন এই উপায়।
১. বিছানায় কিছু রাখবেন না। ফোন, ল্যাপটপ, কিছু নয়। টিভি বন্ধ রাখবেন।
২. ঘুমানোর মতো আদর্শ পরিবেশ গড়ে তুলুন।
৩. নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে যান। নিজেকে শান্ত রাখুন। সমস্ত ভাবনা দূরে রাখুন।
৪. দুপুরে ঘুমাবেন না।
৫. রাতে ঘুমানোর আগে মদ বা কফি খাবেন না।
৬. নরম বালিশে ঘুমান।
৭. বেশি জল খাবেন না ঘুমানোর আগে।
৮. একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন যে রোজ এই সময় ঘুমাবেন আবার পরদিন এই সময় উঠবেন। তাতে শরীর অভ্যস্থ হয়ে যায়।
একজন মানুষের ঘুম আসতে গড়ে ৭ মিনিট সময় লাগে। যাঁদের এর থেকে বেশি সময় লাগে তাঁদের সেই বিষয়টার দিকে গুরুত্বের সঙ্গে নজর দেওয়া প্রয়োজন।