পুতুল একটি জড়বস্তু হলেও এই পুতুলের মাধ্যমেই বলা যায় বহু গল্প। কত নাটক, কত সিনেমা তৈরি হয়েছে পুতুলকে ঘিরে, সেটা গুনে শেষ করা যাবে না। শুধু সিনেমার পর্দা কেন, বাস্তব জীবনেও প্রত্যেকটি শিশুর ছোটবেলা কাটে পুতুলের সঙ্গে খেলা করে। মানুষের জীবনে এই পুতুলের ভূমিকা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় বিশ্ব পুতুল দিবস।
পুতুল দিবসের ইতিহাস
৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রাচীন গ্রিসে পুতুলদের নিয়ে প্রথম খেলা দেখানো শুরু হয়। মিশরীয়রা কাঠের পুতুল তৈরি করত এবং সেটি হাতের কারসাজিতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতেন এবং প্রত্যেকটি খেলার পেছনে লুকিয়ে থাকত একটি গল্প। শুধু মাটির পুতুল নয়, জলের পুতুল, লাঠির পুতুল এমনকি ছায়া পুতুলের মাধ্যমেও লেখকরা নিজের গল্প তুলে ধরতেন সকলের সামনে। পরবর্তীকালে ২০০০ সালে ইরানি পুতুল থিয়েটার শিল্পী জাভেদ জোলফাঘরি ইউ এনআইএমএকে বিশ্ব পুতুল দিবস পালন করার প্রস্তাব দেন।
(আরো পড়ুন: দুধ থেকে ফল, মাংস থেকে মধু, কীভাবে বুঝবেন কোন খাবারে কতটা ভেজাল)
কবে পালন করা হয় বিশ্ব পুতুল দিবস
প্রতিবছর জুন মাসের দ্বিতীয় শনিবার পালন করা হয় বিশ্ব পুতুল দিবস। ২০২৪ সালে ৮ জুন পালন করা হবে বিশেষ পুতুল দিবস।
বিশ্ব পুতুল দিবসের তাৎপর্য
পুতুল এমন একটি বস্তু যার প্রাণ না থাকা সত্ত্বেও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সারা বিশ্বের সংস্কৃতিকে একটি জায়গায় নিয়ে আসে। এই পুতুল যেমন শৈশবকে মনে করিয়ে দেয় তেমনি এই পুতুলের হাত ধরেই তৈরি হয় বিভিন্ন ভয়ানক দৃশ্য। শুধুমাত্র পুতুলকে নিয়ে তৈরি করা যায় আস্ত একটি সিনেমা। প্রত্যেকের জীবনেই কখনও না কখনও এই পুতুলের অবদান অস্বীকার করা যায় না। মানুষের জীবনে ভাষা হীন পুতুলের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় বিশ্ব পুতুল দিবস।
(আরো পড়ুন: কোন প্লাস্টিকের পাত্র কত দিন ব্যবহার করবেন? কোনগুলিতে খাবার রাখা যায়? জানুন নীচের চিহ্ন দেখেই)
আপনি কীভাবে পালন করতে পারেন বিশ্ব পুতুল দিবস
আপনার বন্ধুদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাপেট শো দেখাতে পারেন, বা রাজস্থানী স্টাইলে পুতুলের গল্প অনুষ্ঠিত করে সকলকেই করে দিতে পারেন নস্টালজিক। এছাড়া পুতুল ঘিরে কোনও সিনেমা দেখতে পারেন যা আপনাকে আরো একবার মনে করিয়ে দেবে আপনার জীবনে পুতুলের তাৎপর্য কতটা।