স্থূলতা মানুষের শরীরে নিয়ে আসতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। বন্ধ্যাত্বতা থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, সবকিছুই হতে পারে বাড়তি ওজনের জন্য। এই বাড়তি ওজন কমানোর জন্য ডায়েট থেকে শরীরচর্চা সবকিছুই করা হয়। যেন মনে হয় এক নিমেষে অনেকটা ওজন যদি কমে যেত তাহলে কিছুটা শান্তি পাওয়া যেত। এটা যে কত বড় ভুল ধারণা, সেটাই সম্প্রতি জানাল ICMR।
ICMR - এর প্রকাশিত নির্দেশিকা থেকে জানা গেছে, ওজন কমানো উচিত ধীরে ধীরে। যারা তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান, তারাই ভুল করেন। বাড়তি ওজন কমাতে গিয়ে ওষুধ খাওয়া অথবা অতিরিক্ত শারীরিক কসরত করা একেবারে ভুল। এতে হয়তো অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে কিন্তু শরীরের উপর যে প্রভাব পড়বে তা ভয়ংকর।
(আরও পড়ুন: কাজের চাপে তৈরি হয়েছে মানসিক চাপ? এই ৮টি উপায়ে নিজেকে রাখুন সুরক্ষিত)
ICMR তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছে, প্রতিদিন তাজা শাকসবজি, গোটা শস্য, ডাল এবং মটর শুটির মতো খাবারকে রাখতে হবে প্রতিদিনের ডায়েটে। কমাতে হবে, মদ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যাস। ছেড়ে দিতে পারলে আরো ভালো। অন্ততপক্ষে আধঘন্টা হাঁটাহাঁটি করার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।
এড়িয়ে চলতে হবে চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার। এক কথায় জাঙ্ক ফুড একেবারেই খাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, এড়িয়ে চলতে হবে বাজার চলতি প্যাকেটজাত ফলের রসকেও। প্রতিদিনের ডায়েটের মধ্যে রাখতে হবে বাদাম, সবজি, বিভিন্ন ফল এবং দই।
যে সমস্ত খাবারে কম তেল ব্যবহার করা হয় সেই সমস্ত খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আপনি খেতে পারেন বেকিং, স্টিমিং খাবার যেখানে তেলের পরিমাণ কম থাকে।
(আরও পড়ুন:বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবসে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিন সচেতনতা, জানুন এই দিনটির গুরুত্ব)
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শহরে ৩০ শতাংশ মানুষ এবং গ্রামের ১৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে দেবে এমন খাবার রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, এক সপ্তাহে ন্যূনতম আধ কেজি ওজন কমানো উচিত। হঠাৎ করে যদি আপনি ওজন কমাতে চান সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক, মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন কমানোর থেকেও বেশি প্রয়োজন আপনার সুস্থ থাকা। তবে খেয়াল রাখবেন, একবার ওজন কমে গেলে এটা যেন আর কোনও ভাবে না বাড়ে। শরীর চর্চা এবং ডায়েটের মাধ্যমে নিজের ওজন যদি ধরে রাখতে পারেন তাহলে আর কোনও সমস্যা হবে না।