বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসব এসেই গেল প্রায়। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। আর এই সময় বাঙালি মিষ্টি খাবে না হয় নাকি! উৎসব হোক বা এমনই শেষ পাতে মিষ্টি হলে ব্যাপারটা জাস্ট জমে যায়! অনেকেই আবার এই সময় বাড়ির বানানো মিষ্টি দেবী দুর্গাকে নিবেদন করে থাকেন। ফলে দেবী দুর্গা হোক বা ঘরের লোক সকলকেই এবার ফিউশন মিষ্টি বানিয়ে চমকে দিন তো!
দেখুন, সবাই জানেন বাড়িতে মিষ্টি বানাতে বেশ অনেকটা সময় লাগে। পুজোর সময় সারাদিন টইটই করার পর বা পুজোর কাজ সারার পর আর মিষ্টি বানানোর মতো ধৈর্য অনেক সময়ই থাকে না। তখন ঝটপট এবং সহজেই বানিয়ে ফেলুন এই ফিউশন মিষ্টি। কম খাটনিতে দারুন ফল পাবেন। তাহলে দেখে নিন বাঙালির পছন্দের পদ, মিষ্টি তাও ফিউশন মিষ্টি বানানোর সহজ উপায়।
চকলেট বরফি বানান এবার পুজোয়। কীভাবে বানাবেন দেখুন।
চকলেট বরফি:
উপকরণ: খোয়া ক্ষীর ৫০০ গ্রাম, চিনি, ছোট এলাচ গুঁড়ো এক চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স ৪ থেকে ৫ ফোঁটা, কোকো পাউডার দুই টেবিল চামচ।
পদ্ধতি: একটি নন স্টিক কড়াই লাগবে এই পদ রান্না করার জন্য। এবার এই কড়াইটিকে গ্যাসে বসিয়ে আঁচ একদম কম করে খোয়া ক্ষীর দিয়ে দিন। যখন ধীরে ধীরে খোয়া ক্ষীর গলতে শুরু করবে নাড়তে শুরু করুন। সমানে নাড়তে থাকবেন। এরপর এটিকে নাড়তে নাড়তেই তাতে দিয়ে দিন স্বাদ মতো চিনি, ছোট এলাচের গুঁড়ো, ভ্যানিলা এসেন্স। আপনি যদি ভ্যানিলা এসেন্স না দিতে চান, দেবেন না। পরিবর্তে গোলাপ জল দিতে পারেন। এরপর তখন নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চিনি পুরোপুরি গলে যাচ্ছে। ক্রিমের মতো ঘনও হয়ে যায় যেন, সেইদিকে খেয়াল রাখুন।
মিনিট পাঁচেক পর যখন এটি একটি মসৃণ, থকথকে মণ্ডের আকার নেবে তখন গ্যাস নিভিয়ে দিন। এবার এই তৈরি হওয়া মণ্ডটিকে দুই ভাগে ভাঙুন। একটি থালায় ঘি বা মাখন মাখিয়ে নিন। প্রথম ভাগটিকে নিয়ে সেই ঘি লাগানো থালায় রেখে তার সঙ্গে কোকো পাউডার মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। আরেকটি যে মণ্ডের ভাগ আছে ওটাকে এমনই হাত দিয়ে চটকে ভালো করে মেখে নিন। তারপর নিচে দিন প্লেন মণ্ড, উপরে দিন কোকো পাউডার মেশানো মণ্ডর ভাগ। এবার দিয়ে দিন পছন্দ মতো আকার। তারপর এটিকে মিনিট কুড়ি থেকে ত্রিশ ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর বের করে পরিবেশন করলেই হবে চকলেট বরফি।