পুজো পুজো গন্ধ এখন আকাশে বাতাসে ভাসছে। লোকজন ইতিমধ্যেই দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে। শ্রীভূমি থেকে সুরুচি সব জায়গায় প্যান্ডেল হপিংয়ের লম্বা লাইন। আবার অনেকে ভেবেই পাচ্ছেন না কবে কী করবেন। আর কেউ কেউ সারা বছর এত ব্যস্ত থাকেন যে বাড়িতে থাকার বিশেষ সময় হয় না। তাঁরা আবার বাড়িতে থেকেই হরেক পদ বানিয়ে খাওয়া দাওয়া করে, আড্ডা দিয়েই পুজো কাটাতে চাইছেন। আপনার পরিকল্পনা যদি তেমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে ভাবছেন কবে কোন পদ রাঁধবেন?
একদিন নিশ্চয় মাছ রাঁধার প্ল্যান করেছেন? তাহলে সেদিন এক ঘেঁয়ে কিছু না রেঁধে বরং নতুন ধরনের কিছু ট্রাই করুন। স্বাদ বদল হবে বেশ। সকলকে চমকে দিয়ে পুজোর মধ্যে একদিন রান্না করে ফেলুন গন্ধরাজ কাতলা কারি। এই কদিন কেউই বিশেষ ডায়েটিং, ইত্যাদি মানেন না। বিভিন্ন ধরনের পদ বানান, সঙ্গে চলে ভুরিভোজ আর আড্ডা। ফলে এই পুজোয় এই নতুন ধরনের পদ বানাতে ভালোই লাগবে, সঙ্গে খেতেও। আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এই গন্ধরাজ কাতলা কারি বানাবেন।
গন্ধরাজ কাতলা কারি:
উপকরণ: কাতলা মাছ , নুন, চিনি, গন্ধরাজ লেবু, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, গন্ধরাজ লেবুর পাতা, সর্ষের তেল।
পদ্ধতি: আগে কাতলা মাছগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে নুন আর হলুদ মাখান। তারপর কড়াইয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে মাছগুলো আগে ভেজে নিন। এবার সেই একই তেলে একে একে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, টমেটো বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো। এবং এগুলোকে একসঙ্গে ভালো করে নাড়তে থাকুন। মশলাগুলো কষে এলে তাতে দিয়ে দিন কাতলা মাছ ভাজাগুলো। এবার হালকা নেড়ে নিয়ে তাতে গরম জল দিয়ে দিন। তারপর উপর দিয়ে লেবুর পাতাগুলো ছড়িয়ে চাপা দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে রান্না হয়ে এলে ঢাকনা খুলে ছড়িয়ে দিন লেবুর রস। হালকা ফুটিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি গন্ধরাজ কাতলা মাছের কারি। এবার এটাকে গরম গরম পরিবেশন করুন ভাতের সঙ্গে।