পুজোয় মোটামুটি প্রায় সকলেরই বাড়িতে রান্নাঘরে হাঁড়ি চড়ে না। লাঞ্চ বা ডিনার রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া মাস্ট। কিন্তু শুধু বাইরে খেলেই তো হবে না, খেয়াল রাখতে হবে পেটের দিকেও। প্রত্যেকদিন ফাস্টফুডে যদি আপনার পেটের সমস্যা শুরু হয় তাহলে কিন্তু পুরো পুজোটাই হয়ে যাবে মাটি। তাই আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক। পুজোর এই কটা দিন পাতে এখন এই পাঁচ খাবার, যাতে আপনার পেট থাকে সব সময় হাসি খুশি।
তরমুজ: একেই সারাদিনে বাইরে খাওয়া দাওয়া অন্যদিকে গরম, সব মিলিয়ে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সকালের ব্রেকফাস্টে যদি তরমুজ খেতে পারেন তাহলে কিন্তু সারাদিন শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং পেটের সমস্যাও কষ্ট দেবেন আপনাকে।
(আরও পড়ুন: পুজোয় ডিম দিয়ে রেঁধে ফেলুন ঠাকুরবাড়ির বিশেষ পদ ‘চাও চাও’, রইল রেসিপি)
শশা: ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় শশা হল এমন একটি অনুঘটক, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তবে শশা শুধু খাবার হজম করতে সাহায্য করে তা নয়, শরীরকে হাইড্রেট করে রাখতেও সাহায্য করে। পেটের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরে জলের ঘাটতিও দূর হয় শশা খেলে। তাই পেট ঠান্ডা করতে পুজোয় শসা খাওয়াই যায় নিয়মিত।
কাঁঠাল: কাঁঠাল খেলে পেট ভীষণ ঠান্ডা থাকে তাই পুজোর দিনগুলি সকালে কয়েক কোয়া কাঁঠাল খেয়ে নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, খাবার হজম করতেও সাহায্য করে এই ফল। এছাড়া ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্যও কাঁঠালের জুড়ি মেলা ভার তাই পুজোর আগে কাঁঠালকে রাখতেই পারেন পাতে।
(আরও পড়ুন: মুরগির রোস্ট নয়, এবার বানান ইলিশ মাছের রোস্ট! জমে যাবে পুজোর দুপুর)
ছাতুর শরবত: ছাতু খেলে দেহে একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ জলের ঘাটতি মিটে যায়। এছাড়া পেটও থাকে ঠান্ডা। তাই পুজোর দিনগুলি এই ছাতু কিন্তু আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে।
দই: দইয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক, যা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক বাটি টক দই গোটা পুজোয় আপনাকে দূরে রাখবে অ্যাসিডিটির হাত থেকে।