এখন আর সেই বিরাট বড় ছাদ বা উঠোন দেখতে পাওয়া যায় না। এখন খোলা আকাশ মানে ওই এক চিলতে বারান্দা। বাড়ি হোক বা ফ্ল্যাট, নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জন্য মানুষকে বেছে নিতে হয় ওই এক চিলতে বারান্দাটিকেই। তাই দুর্গাপুজো আসার আগেই ড্রয়িং রুম এবং বেডরুমের পাশাপাশি সুন্দর করে সাজিয়ে নিন নিজের ব্যালকনিকেও।
গাছ: বারান্দা থাকলেই যে গাছ থাকবে এ কথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরাট বড় বাগানের পরিবর্তে এখন মানুষের বাগান করার শখ মেটাতে হয় ওই বারান্দার মধ্যেই। ছোট্ট ছোট্ট টব এনে তাই মনের মতো করে গাছ লাগাতে পারেন আপনার ছোট্ট বারান্দায়।
গ্র্যাস ম্যাট: গাছ থাকবে আর ঘাস থাকবে না তা কি কখনও হয়। তাই আপনার এক চিলতে বারান্দাকে একেবারেই অবিকল বাগানের মত করে তুলতে বাজার থেকে স্বল্পমূল্যে কিনে আনুন গ্র্যাস ম্যাট। এতে আপনার বারান্দার সৌন্দর্য আরও বেশি বেড়ে যাবে।
(আরও পড়ুন: পুজোয় বাড়িতে জমাটি আড্ডার প্ল্যান? সঙ্গে থাক এই মুখরোচক স্ন্যাকস, রইল রেসিপি)
কুশন: বারান্দা ছোট হোক বা বড়, সেখানে সকলে মিলে আড্ডা না দিতে পারলে মনের শান্তি হয় না। তাই বাড়িতে আসা অতিথিদের বসার জায়গা করার জন্য মেঝেতে গদি বা কুশন বিছিয়ে দিতে পারেন একধারে। একটু আয়েশ করে বসে চা বা কফি খেতে খেতে আড্ডটা কিন্তু বেশ ভালই জমে যাবে।
মোড়া: আপনার বাড়িটি বা ফ্ল্যাট যদি পুরনো দিনের হয় তাহলে হোগলা পাতা, বাঁশ অথবা বেতের মোড়া রাখতে পারেন সেখানে। মাটিতে বসতে যাদের অসুবিধে তাঁরা এই সমস্ত মোড়ায় বসতে পারেন।
মুখোশ: বারান্দার দেওয়ালকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন মুখোশ কিনে আনতে পারেন। ছৌ নাচের মুখোশ অথবা বিভিন্ন নারী পুরুষের মুখোশ কিনে যদি দেওয়ালে রাখেন তাহলে কিন্তু বেশ আলাদাই সুন্দর হয়ে উঠবে আপনার বারান্দা।
(আরও পড়ুন: পুজোয় একদিনের জন্য কলকাতায় মনু ভাকের, মণ্ডপে যাওয়া ছাড়া আর কী প্ল্যান?)
হাতে আঁকা পেইন্টিং: বাড়িতে অতিথি আসবেন আর আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখবেন না তা কি কখনও হয়, তাই আপনি যদি আঁকাঁকি করতে ভালোবাসেন তাহলে বারান্দার দেওয়ালে নিজের আঁকা কোনও পেন্টিং রাখতে পারেন সুন্দর করে। এতে আপনার গুণের কথা সকলের সামনে প্রকাশিত হবে আবার আপনার বারান্দাটিকেও দেখতে সুন্দর লাগবে।