উত্তর কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হলো কাশী বোস লেনের দুর্গাপুজো। চলতি বছর ৮৭ বছর উদযাপনে এই পুজোয় থিম করা হয়েছে ‘রত্নগর্ভা’। থিমের মাধ্যমে রামমোহন রায় এবং বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ও রাজ্যের কৃতি মহিলাদের সম্মান জানানো হয়েছে। আর এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ কৃতি মহিলাদের তালিকায় নাম রাখা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথ প্রদর্শক অ্যানি বেসান্ত থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে জোড়া অলিম্পিক পদকজয়ী মনু ভাকের, কে নেই তালিকায়! নাম উঠে এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে দ্রৌপদী মুর্মু সকলেরই। কিন্তু কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে আপত্তি জনগণের?
(আরও পড়ুন: মহাষ্টমীর পুণ্যলগ্নে প্রিয়জনকে জানান অন্তরের শুভকামনা, পাঠিয়ে দিন এই বার্তা)
বিগত বেশ কয়েকদিনে কলকাতার পরিবেশ যে বেশি উত্তপ্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মুহূর্তে ধর্মতলায় অনশনে অনড় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের যেখানে জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে, সেখানে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপ উদ্বোধন করেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
একজন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে এই সময় ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, এমনই মত অনেকের। অনেকেরই অভিযোগ, তা না করে তিনি উৎসবে মেতেছেন। আর সেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা রয়েছে লতা মঙ্গেশকর বা মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে, সেটিই প্রবল আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের।
(আরও পড়ুন: রাত পোহালেই মহাষ্টমী, প্রিয়জনকে জানান এই পুণ্যলগ্নের শুভেচ্ছা)
তবে জনগণ এই বিষয়ে আপত্তি জানালেও পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি অনুযায়ী, যে সমস্ত নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য নিয়ে এসেছেন তাদের সম্মান জানানো হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে। ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে এই তালিকায় রয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু সকলেই। মুখ্যমন্ত্রীও একজন নারী এবং তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজেকে সাফল্যের শিখরে বসিয়েছেন, তাই এই সম্মান ওঁর প্রাপ্য।