বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে নানা রকম সংশয় রয়েছে। তার পরেও বাংলাদেশের কিছু জায়গায় দুর্গোৎসব পালন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫০,০০০ ধান দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি হচ্ছে নাটোরের এক দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2024)।
নাটোরের প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ পালের হাত ধরে এই বছর ফুটে উঠবে অনন্য এক সৃষ্টি। নাটোরের লাল বাজার কদমতলা রবি সূতম সংঘের মণ্ডপে দেখা যাবে এই অনন্য সৃষ্টি। বিশ্বজিৎ বাবুর পরিবারের সদস্যরা বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাব কমিটি কর্মকর্তারা নতুন ধরনের কাজ চান বিশ্বজিৎ বাবুর থেকে।
(আরও পড়ুন: দশভূজার হাতে ১০ অস্ত্র, কোন অস্ত্র কে কেন দিয়েছিলেন মাকে? কী বলছে শাস্ত্র?)
এই বছর রবি সূতম সংঘ সোনালি ধান দিয়ে প্রতিমা গড়ার জন্য আবদার করেন বিশ্বজিৎ পালের কাছে। এটি খুব একটা সহজ কাজ নয় জেনেও কাজ শুরু করেন বিশ্বজিৎ বাবু। প্রথমে মায়ের প্রতিমূর্তি তৈরি করা হয় ঠিক যেমন আর পাঁচটা ঠাকুরের হয় ঠিক তেমন ভাবেই। কিন্তু কাজ শুরু হয় তারপর থেকেই।
প্রতিমার গায়ে দেওয়া মাটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই একটি একটি করে ধান বসানোর কাজ শুরু হয়। এটি যে একেবারেই সহজ কাজ নয় তা বলাই বাহুল্য। প্রায় ৫০ হাজার ধান বসানোর পর প্রতিমাটি রেখে যেন মনে হয়েছে সোনায় মোড়ানো প্রতিমা। শুধু ধান বসানো চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল তা নয়, রঙ তুলির আঁচড়ে প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তোলাই ছিল সবথেকে বড় কাজ।
(আরও পড়ুন: নিভবে আলো, বন্ধ থাকবে মাইকিং; অভয়াকে স্মরণ করে 'নীরবতা' পালন হবে এই পুজোয়)
বিশ্বজিৎ বাবুর কাজ শেষ হওয়ার পর বেজায় খুশি রবি সূতম সংঘের সাধারণ সম্পাদক। ধান দিয়ে প্রতিমা তৈরীর পরিকল্পনা যে এত সুন্দর ভাবে বাস্তবায়িতভাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। এই বছর এই ধরনের কাজ নাটোর জেলায় প্রথম, তাই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রতিমা দেখার ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের মধ্যে থাকবে আলাদাই উত্তেজনা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের নাটোর জেলায় গত বছর ৩৫৪টি দুর্গাপুজো হয়েছিল কিন্তু এই বছর ৩৮টি পুজো কম হবে। গত বছর থেকে চলতে থাকা ক্রমাগত হিংসার জেরে এই বছর কিছু মানুষ নিজেকে পুজোর আনন্দ থেকে সরিয়ে রেখেছেন।