আর মাত্র চার দিন বাকি পুজোর, কিন্তু এখনও মাঝে মাঝেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। কখনও আবার টানা এক ঘন্টা বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে।এখন না হয় বৃষ্টি পড়লে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না, কিন্তু পুজোয় কী করবেন? তখন তো আর বাড়িতে বসে থাকা যায় না।কিন্তু রোদ জলে ৪ দিন প্যান্ডেল হপিং করে সুস্থ থাকবেন তো? ভয় পাবেন না, পুজোর চারদিন কীভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন, জেনে নিন।
দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোনোর আগে আর কিছু না হোক, হাতে ছাতা যেন অবশ্যই থাকে।যখন তখন বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য এটাই হল প্রধান অস্ত্র।মাথায় বৃষ্টির জল না পড়লে খুব একটা শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে যদি অগত্যা ভিজেই যান, তাহলে কিন্তু ভেজা জামা কাপড়ে ঘুরবেন না।কষ্ট করে বাড়িতে এসে জামা কাপড় পাল্টে তবে বের হবেন।
(আরও পড়ুন: বাবার কোলে বসে আছেন মা, ঠনঠনিয়ার দত্ত বাড়িতে মায়ের পুজো হয় বৈষ্ণব মতে)
বৃষ্টির জলে একাধিক রোগ জীবাণু বাসা বাঁধে।এছাড়াও জমা জলে থাকে ডেঙ্গির আশঙ্কা।নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা ভীষণ জরুরি।প্রত্যেকদিন প্যান্ডেল হপিং করার আগে ব্যাগে রেখে দেবেন স্যানিটাইজার।হাত পরিষ্কার না করে একেবারেই খাবারে হাত দেবেন না।
তবে শুধু নিজে পরিষ্কার থাকলেই হবে না,আশেপাশের সব কিছু পরিষ্কার আছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে।প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে থেকে জমা জল পরিষ্কার করতে হবে।এবার আসা যাক খাবারের কথায়। পুজোয় বাইরে খাবেন না তা কি কখনও হয়? কিন্তু যেহেতু পুজোর চার দিন ভীষণ ভাবে অনিয়ম হয়, তাই অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
(আরও পড়ুন: পুজোর দিনে লিভিং রুম তাক লাগাবে অতিথিদের, সাজানোর সময় মনে রাখুন ছোট্ট কিছু টিপস)
বাইরে বের হলেই দুই বোতল জল সঙ্গে রেখে দেবেন।রোদে বেরোলে সঙ্গে রাখবেন ORS। এখন অনেক পুজো মণ্ডপের আশেপাশে টয়লেটের ব্যবস্থা থাকে,তাই প্রয়োজন হলে টয়লেট করে নেবেন।চেপে রাখবেন না একেবারেই।তবে টয়লেট করার আগে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন না হলে হতে পারে ইউরিন ইনফেকশন।
পুজোয় আরও একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।যদি কোনও ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কিন্তু একেবারেই ফেলে রাখবেন না।বাড়িতে প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি না কমে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।পুজো সুস্থ কাটুক, সুন্দর কাটুক, এটাই কামনা রইল।