দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি শহর গঙ্গারামপুর। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় কিন্তু একটি নতুন চমক নিয়ে আসে গঙ্গারাম পুরের চিত্তরঞ্জন স্পোর্টিং অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব। এই বছর ৪৫তম বর্ষের দুর্গা পুজোয় ফের আরও একটি নতুন চমক আনতে চলেছে এই ক্লাব। ২১ লক্ষ টাকার বাজেটের পুজো হতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের এই পুজো।
৪৫তম বর্ষে মণ্ডপে প্রাচীন ভারতের মন্দিরের স্থাপত্য শিল্পকে তুলে ধরতে চলেছে চিত্তরঞ্জন ক্লাব। হাতে আর একেবারেই বেশি সময় নেই তাই দিবারাত্র পরিশ্রম করে প্রতিমা এবং প্যান্ডেলের কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। শুধু প্রতিমা বা প্যান্ডেলে নয়, লাইটিং-এও থাকবে দুর্দান্ত চমক।
(আরও পড়ুন: পুজোয় একটু মিষ্টিমুখ না হলে চলে ? বাড়িতেই বানিয়ে নিন নবদ্বীপের মিষ্টি দই)
দক্ষিণ দিনাজপুরের বিগ বাজেটের দুর্গাপুজোর মধ্যে এই ক্লাবের দুর্গাপুজো অন্যতম। প্রতিবছর নিত্য নতুন থিম তুলে ধরার চেষ্টা করে এই ক্লাব। এবার ৪৫ তম বর্ষে পদার্পণ করে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রাচীন ভারতের মন্দির স্থাপত্য শিল্পকে তুলে ধরে গোটা জেলাকে চমকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ক্লাব।
এই প্রসঙ্গে ক্লাব সভাপতি সনৎ কুমার দত্ত বলেন, ‘এই বছর আমাদের ৪৫ তম বর্ষ। আমাদের এই প্যান্ডেলের থিমের নাম, মধ্যযুগে ভারতের নির্মাণ স্থাপত্য শৈলী। আমরা মানুষকে দেখাতে চাই, মধ্যযুগে কীভাবে কোনও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করেই বিশাল মন্দির তৈরি করা হতো। মন্দিরের গর্ভগৃহে কীভাবে চূড়া' তোলা হত, সেটাও দেখানো হবে এই প্যান্ডেলে।’
(আরও পড়ুন: পুজোর পোশাকের সঙ্গে পারফেক্ট দুল খুঁজে হয়রান? জেনে নিন সাজগোজের কিছু সহজ টিপস)
তিনি আরও বলেন, 'প্যান্ডেল যেহেতু মধ্যযুগের পটভূমিতে তৈরি করা হয়েছে তাই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা প্রতিমা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। প্রতিবছর চন্দননগরে লাইটের সমারোহ দেখা যায়, আমরা সবটা না পারলেও চন্দননগরের আলোকসজ্জার কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমাদের এই মন্ডপে', বলেন ক্লাব সভাপতি।
দর্শনার্থীরা কবে থেকে মণ্ডপ দর্শন করতে পারবেন জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, 'তৃতীয়া থেকেই জনসাধারণের জন্য খোলা হবে প্যান্ডেল। তবে যদি আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় সে ক্ষেত্রে চতুর্থী থেকে যাতে দর্শকরা মণ্ডপ দর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া জনসচেতনতার বিষয় যেমন ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা শিশু শ্রমের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে মণ্ডপে।'