Durga Puja 2024: পুজোর ব্যাপারে যাবতীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। কিন্তু তার পরেও মনের শান্তি যেন কিছুতেই ফিরছে না। কাটছে না ভয়। পুজোর প্রস্তুতিও তাই অনেক জায়গায় শুরু হয়নি বাংলাদেশের। এমনকি কিছু জায়গায় হয়তো এই বছর পুজোর আয়োজন করা হবে না। সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমনটাই বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটছে।
নিরাপত্তার আশ্বাসে লাভ হচ্ছে না
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গা পুজোর সময় সবরকম নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কিন্তু সেই আশ্বাসেও চিঁড়ে ভিজছে না বলেই দাবি। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই ইসলামপন্থী মৌলবাদী সংগঠনগুলি হুমকি দিতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - Durga Puja 2024: ইলিশ ভোগ, বেনারসি শাড়ি পান মা, ৫০০ বছর পুরনো এই পুজোয় আজও নামে মানুষের ঢল
ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের হুমকি
সাহস করে যারা পুজোর আয়োজন করছেন, তাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিছু জায়গায় পুজো শুরুর আগেই প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আবার কিছু স্থানে পুজোর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, পুজো বন্ধ রাখার হুমকি তো রয়েছেই। বিভিন্ন এলাকার হিন্দু বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর সময় মাইক বাজানো যাবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে না বলে শাসানো হয়েছে।
কী বলছে হিন্দু সংগঠন?
বাংলাদেশের (Durga Puja In Bangladesh) এক হিন্দু সংগঠনের নেতা এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অনেক পুজো কমিটিই রীতিমতো ভয়ে ভয়ে রয়েছে। কারণ পুজো শুরু করলেও তা মাঝপথে বানচাল করে দেওয়া হতে পারে। শুধু তাই নয়, পুজো ঘিরে বড়রকম নাশকতার ছকও কষা হতে পারে। সরকারের তরফে আশ্বাস থাকলেও ঝুঁকি নিতে তাই অনেকেই ভয় পাচ্ছেন।
কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?
প্রতি বছর বাংলাদেশে কমবেশি ৩২ হাজার দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়। এর আগেও পুজোর সময় অশান্তি হয়েছে পড়শি দেশে। কিন্তু সেই সময় পরিস্থিতি ছিল একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন,সেই দেশে সংখ্যালঘুদের বর্তমান পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। তবে বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, এই আশাই করছে ভারত।