Durga Puja 2024: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বহু বছর ধরেই চলে দুর্গা পুজো। রাজ্যে মোট আটটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার রয়েছে। তার মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Correctional Home) দুর্গা পুজো দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ব্রিটিশ আমলে শুরু হয়েছিল এই জেলের পুজো। তবে এবারের পুজো কিছুটা তাক লাগানো বলা যেতে পারে। কারণটা এবারের পুজোর থিম। আর তাকে ব্যঙ্গাত্মক বলা হবে না, নিরপেক্ষ; তা দর্শনার্থীদের বিচার্য বিষয়। এবারের পুজোর থিম হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে ‘মুক্তি’। এদিকে কাকতালীয়ভাবে মুক্তির ঠিক বিপরীতেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের বেশিরভাগ বন্দি।
মন্ত্রীদের মুক্তির আশা এখনও ক্ষীণ
বন্দিদের তালিকায় রয়েছে হাই প্রোফাইল নামও। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। শিক্ষায় বিপুল দুর্নীতির জেরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এই পুজোয় তাঁর মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ ইতিমধ্যেই তাঁকে ফের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার একই সঙ্গে ওই জেলে রয়েছে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনিও বেশ কয়েক মাস ধরে ওই জেলে বন্দি রয়েছেন। চলতি বছরের পুজোয় তাঁরও মুক্তির আশা ক্ষীণ।
আরও পড়ুন - Durga Puja 2024: দর্শনার্থীদের গঙ্গার নিচ দিয়ে মণ্ডপে নিয়ে যাবে মেট্রো, তাক লাগাচ্ছে এই পুজো
থিম সাজাবেন বন্দিরাই
গত বছর প্রেসিডেন্সি জেলের থিম হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল ‘এক টুকরো গ্রাম বাংলা’। থিমের কারিগর ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দিরাই। প্রতিবার তারাই সেই দায়িত্ব সামাল দেন। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। মুক্তি না পেলেও ‘মুক্তি’ থিমকে নিজেদের দায়িত্বেই সাজিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। তাদের কথায়, এই থিমের মধ্যেই আপাত মুক্তির স্বাদ খুঁজে পেতে চান অনেকে।
কী বলছেন কারামন্ত্রী?
কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবারেরর মতো এবারও অন্য ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। থিম নির্বাচন করা হয়েছে মুক্তি (Presidency Correctional Home Theme)। রীতি মেনে জেলের মধ্যেই পুজোর সমস্ত আয়োজন করা হবে।
থাকবে ভূরিভোজের বন্দোবস্ত
খাওয়াদাওয়া ছাড়া কি পুজোর আনন্দ সম্পূর্ণ হয় ? তাই জেলের মধ্যেই খাবারের আয়োজন করা হবে। পুজোর কয়েকদিন বিশেষ ধরনের রান্না হবে বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। জেলের মেনুতে ফ্রায়েড রাইস থেকে মটন বিরিয়ানি, নবরত্ন কারি থেকে মাছের নানা পদ থাকছে। এছাড়াও, চিকেন, মটনের কারি থেকে লুচি তরকারি তো রয়েছেই। শেষপাতে থাকছে মিষ্টিমুখেরও ব্যবস্থা!