মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদের শুভ ক্ষনে পুরোনো রীতি মেনে ঘট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্ধমানের ( Bardhaman) সর্বমঙ্গলা মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2024) সূচনা হলো। একই সঙ্গে শুরু হয়ে গেল রাঢ় বাংলার দুর্গাপুজো উৎসব। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজো নিয়ে মেতে উঠতে দেখা গেছে গোটা বর্ধমানবাসীকে।
বৃহস্পতিবার বাদ্যযন্ত্র সহকারে একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে ৪০০ বছর পুরনো রাজ আমলের রীতি মেনে ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। এদিন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মায়ের রুপোর ঘট নিয়ে কৃষ্ণসায়ের থেকে জল ভরেন।
(আরও পড়ুন: পুজোয় বাড়িতে বিরিয়ানি বানানোর প্ল্যান? আগে জেনে নিন বিরিয়ানি-মাশলার রেসিপি)
ঘটে জল ভরে ঘোড়ার গাড়িতে করে সেই ঘট আনা হয় মন্দিরে। এরপর সমস্ত রীতিনীতি মেনে করা হয় ঘর প্রতিস্থাপন। চন্ডী পাঠ করে রাঢ় বাংলার দুর্গোৎসবের সূচনা করেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। এদিন অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, বিধায়ক খোকন দাস এবং মন্দিরের ট্রাস্ট বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাস্টবোর্ড-এর সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ঘট উত্তোলন এখানকার প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ একটি প্রথা। রাঢ় বাংলার দেবী সর্বমঙ্গলাকে রাঢ়েশ্বরীয় বলা হয়। রাজ আমলের সমস্ত রীতি মেনে প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত চলে চণ্ডীপাঠ। নবমীতে নয় কন্যাকে নিয়ে করা হয় কুমারী পুজো।’
(আরও পড়ুন: অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে লুচির সঙ্গে এবার বেগুনের কোরমা হলে কেমন হয়? রইল রেসিপি)
তিনি আরও বলেন, ‘আগে মন্দিরে পশু বলিদান প্রথা ছিল কিন্তু এখন তা নেই। এখন আখ, কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। সর্বমঙ্গলা মায়ের পুজোর মাধ্যমেই সূচনা হয় সমস্ত রাঢ় বাংলার দুর্গাপুজোর। প্রতিপদ থেকেই আনন্দে গা ভাসান সমস্ত বর্ধমানবাসী।’