Durga Puja 2024: মাকে বিদায় জানানোর পালা। স্বাভাবিকভাবে মন ভার থাকার কথা। মাকে বিদায় জানাতে গিয়ে অনেকের চোখে জল দেখা দেয়। কিন্তু দুবরাজপুরের এক পুজোর রীতি শুনলে আঁতকে উঠবেন যে কেউ। কারণ মাকে বিদায় জানানোর সময় এসব কিছুর বালাই নেই। বরং যেভাবে মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়, তা দেখে দুঃখও হতে পারে।
আরও পড়ুন - শান্তি, সম্প্রীতি ফিরে আসুক আবার, বিজয়া দশমীতে প্রিয়জনদের জানান দিনটির শুভেচ্ছা
দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় মাকে
দুবরাজপুরের এই পুজো শতাব্দী প্রাচীন। বহু বছর ধরেই দাস বাড়িতে মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়। চারদিন ধরে মহাধুমধামসহকারে পুজো হয় দেবীর। কিন্তু বিসর্জনের সময় বদলে যায় উৎসবের আমেজ। মাকে সেই সময় রীতিমতো দড়ি বেঁধে নামানো হয় তাঁর বেদি থেকে। প্রয়োজনে দড়ির পাশাপাশি শিকল ব্যবহারের চলও রয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও এক অদ্ভুত প্রথা দাস বাড়ির পুজোর অঙ্গ। যা দেখলে রীতিমতো চমক উঠতে বাধ্য।
আরও পড়ুন - ‘আসছে বছর আবার হবে’ বিজয়া দশমীতে প্রিয়জনদের জানান এই শুভেচ্ছাবার্তা
ঝাঁটা মেরে বিদায়
সংবাদমাধ্যমকে পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন, শতাব্দীপ্রাচীন এই পুজোয় মাকে ঝাঁটা দেখানোর রীতিও ছিল। অর্থাৎ ঝাঁটা ‘মেরে’ বিদায় জানাতে হত মাকে। তবে তিনি দেবী দুর্গা নন। দশমীর বিজয়ার পর দাস বাড়িতে পুজো করা হয় শ্মশানকালীর। মা শ্মশানকালীকেই এভাবে বিদায় জানানোর রীতি প্রচলিত রয়েছে সেখানে। শুধু ঝাঁটা মারার রীতি রয়েছে, তা নয়। এর পাশাপাশি মাকে গালিগালাজ দেওয়ার রীতিও প্রচলিত রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন - রেঁস্তোরার জাঙ্ক ফুড খেয়ে অ্যান্টাসিড ভরসা? বদলে বেছে নিন এগুলি
কেন এই রীতি?
কেন এই অদ্ভুত রীতির প্রচলন রয়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায় না আর। তবে ইদানীংকালে এই রীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। তাদের কথায়, সমাজ আগের তুলনায় অনেকটা পাল্টে গিয়েছে। সভ্য সমাজে দাঁড়িয়ে এই ধরনের ঘটনা সকলে সমান চোখে দেখেন না। তাছাড়া, এভাবে ঝাঁটা মারা, গালিগালাজ দেওয়ার মধ্যে একধরনের অবমাননাও রয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করে বর্তমানে এই প্রথা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাস পরিবার। বেশ কয়েক বছর এই পুজোয় আর মাকে ঝাঁটা মারা বা গালিগালাজ দেওয়া হয় না। তবে দড়ি বা শিকল বেঁধে বেদি থেকে নামানোর প্রক্রিয়া এখনও বন্ধ হয়নি। সেই প্রক্রিয়া আগের মতোই অনুসরণ করা হয়।