বাঙালি আর তার পাতে দুপুরবেলায় মাছ পড়বে না তাই হয়? রোজ কোনও না কোনও পদ চাই মাছের। আর এই রোজকার মাছের মধ্যে মূলত হয়ে থাকে রুই বা কাতলার কোনও পদ। মূলত ঝোল বা ঝাল। কিন্তু সেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক খাবার খেতে কার ভালো লাগে বলুন দেখি? তাই তো চেনা মাছের অচেনা পদ রেঁধে স্বাদ বদল করা প্রয়োজন। বিশেষত সামনেই দুর্গাপুজো। সেই সময়ে তো একঘেয়ে খাবার খেলে একেবারেই খুশি হবে না বাড়ির লোকজন। তাহলে কী উপায়! চিন্তা নেই, বলে দিচ্ছি আমরা।
রুইয়ের একাধিক পদ তো বহুবার খেয়েছেন, কিন্তু মালাই রুই খেয়েছেন কি? দেখে নিন বানানোর পদ্ধতি।
মালাই রুইয়ের রেসিপি:
উপকরণ: ৫-৬ পিস রুই মাছ, নুন, শুকনো লঙ্কা, কালো জিরে, টমেটো কুচি হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, সাদা সর্ষে বাটা, কাঁচা লঙ্কা নারকেলের দুধ।
পদ্ধতি: সবার আগে মাছগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে নুন হলুদ মাখান। এবার এগুলোকে সরিয়ে রাখুন। এবার একটা কড়াইতে তেল দিন গরম করতে। তেল গরম হলে তাতে দিন একটা কী দুটো টমেটোর কুচি, সঙ্গে দিন অল্প করে আদা কুচি। এবার এগুলোকে ভালো করে ভেজে নিন। টমেটো যখন হালকা হলে আসবে তখন গ্যাস অফ করে দিন। এবার এটা ঠাণ্ডা হলে সামান্য জল দিয়ে মিক্সিতে এটা পেস্ট করে নিন।
এবার কড়াইতে আবার একটু তেল দিন। তারপর তাতে মাছ ভেজে তুলে নিন। ওই তেলেই এবার একে একে দিন শুকনো লঙ্কা দুটো এবং কালো জিরে ফোড়ন। এবার অল্প নেড়ে তাতে দিয়ে দিন টমেটো আদার পেস্ট। মশলাটা এবার ভালো করে কষাতে থাকুন। মশলা কষে এলে তাতে দিন হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন এবং জল। এবার আবার মশলাটা ভালো করে কষান। আবার কিছুটা জল দিন। এরপর দিন সর্ষে বাটা এবং কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা। মিশিয়ে নিয়ে ভালো করে ফোটান। কিছুক্ষন ফোটার পর তাতে দিন নারকেলের দুধ। দুধটা ঝোলের সঙ্গে মিশে গেলে তাতে দিয়ে দিন মাছের টুকরোগুলো। এবার আবার কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। নামানোর আগে একটু ধনে পাতা দিয়ে দিতে পারেন, ভালো গন্ধ হবে।
(সর্ষে বাটা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর নাড়াচাড়া করবেন, নইলে তেতো হয়ে যেতে পারে।)