দুর্গাপুজোর সময় উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? কিন্তু ভিড়ভাট্টা এড়াতেও চাইছেন? কোনও ব্যাপার না। বাজেটে চারদিন ঘুরে আসুন মাজুয়া এবং সান্তুক। কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন জেনে নিন।
আরও পড়ুন: OTT-র পর্দায় 'দুর্গা' রাজনন্দিনীর পাশে 'মহাদেব' রোহন! অন্যান্য কোন চরিত্রে কাদের দেখা গেল?
সবার আগে বলি দুটো জায়গা কোথায়?
মাজুয়া সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের কাছেই এটা অবস্থিত। শিলিগুড়ি থেকে ১১৭ কিমি দূরে। বুঝতেই পারছেন আশেপাশে গহীন জঙ্গল থাকার ফলে প্রচুর পাখি তো দেখা যাবেই। সঙ্গে দেখা মিলতে পারে রেড পান্ডা, প্যাঙ্গোলিনদের। ফলে যাঁরা পশুপ্রেমী বা পাখিদের ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। একই সঙ্গে যাঁরা প্রকৃতির কোলে নিভৃতিতে থাকতে ভালোবাসেন তাঁরাও অবশ্যই যাবেন।
অন্যদিকে সান্তুক কিন্তু কালিম্পংয়ে। তাই দুটোর দূরত্ব বেশ ভালোই। ফলে দুটো জায়গা একসঙ্গে কভার করতে চাইলে এক জায়গা দিয়ে আরেক জায়গা যেতে গেলেই বেশ অনেকগুলো জায়গা দেখা হয়ে যাবে। সেখানেও মাজুয়ার মতোই ঝোরা তো পাবেনই, সঙ্গে পাবেন দুর্দান্ত সিনিক বিউটি। আর এটাকে কিন্তু অনেকেই উত্তরবঙ্গের বালি বলেন। কেন? এখানকার বিখ্যাত হোমস্টেতে বালির মতোই সেই দোলনা সহ একাধিক ফটো তোলার ফাটাফাটি জায়গা আছে।
ফলে আর দেরি কেন? এই পুজোয় হয়ে যাক দুটো জায়গাই? ধরুন ষষ্ঠীর রাতে ট্রেন ধরে রওনা দিন। সপ্তমীর দিন পৌঁছে যান মাজুয়া। গোটা দিন ওখানেই থাকুন। উপভোগ করুন। অষ্টমীও ওখানেই কাটান। নবমীর সকালে বেরিয়ে পড়ুন সান্তুকের উদ্দেশ্যে। দুপুরবেলার মধ্যে পৌঁছে গিয়ে বাকি দিন ওখানেই থাকুন। দশমীও। একাদশীর দিন রাতে ট্রেন ধরে ফিরে আসুন। সেদিন নামার পথে আরও কিছু জিনিস দেখতে দেখতে নেমে আসুন। নইলে নিজেদের মতো দিন কমিয়ে বাড়িয়েও প্ল্যান করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে একাধিক ট্রেন রয়েছে। অনেকে আগে টিকিট কেটে পরে প্ল্যান করেন, তো তাঁরা এই প্ল্যান করতেই পারেন। আর যদি টিকিট কাটা না থাকে ট্রেনের তাঁরা বাসে ট্রাই করুন। শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে শেয়ার গাড়ি বা অনেকে থাকলে 3কিয়া গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়ুন।
আরও পড়ুন: ‘নিজে আইনজীবী হয়েও অত উকিল রেখেছেন কেন?’ RG Kar কাণ্ডে মমতাকে তোপ শ্রীলেখার
কোথায় থাকবেন?
মাজুয়া অফবিট হলেও বেশ কিছু হোমস্টে পাবেন। মোটামুটি ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকার প্রতি দিন প্রতি জনের থাকা খাওয়া হয়ে যাবে ওখানে। অন্যদিকে সান্তুক ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায় প্রতিদিন প্রতি জন থাকা খাওয়া পাবেন।