দুর্গাপুজোর সময় এবার আবার কলকাতা থাকতে ইচ্ছে করছে না? কাছে পিঠে কোথাও যাবেন ভাবছেন, তাও অল্প খরচে মধ্যেই? কুছ পরোয়া নেহি! ঝোলা বেঁধে বেরিয়ে পড়ুন, আর পাহাড় ঝর্না জঙ্গলের স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন রাঁচি থেকে। কী করবেন, কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন বুঝতে পারছেন না? জেনে নিন এখান থেকে।
কী কী দেখবেন রাঁচিতে?
রাঁচি এখন তাঁর অপার সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে। চারিদিকে খালি সবুজ। ঝর্না ভর্তি জল। তাই ৩ রাত ৪ দিনে ট্রিপে এই জায়গাটা ঘোরার প্ল্যান কিন্তু মোটেই মন্দ নয়। এবার আসি কী কী দেখবেন। রাঁচি এবং তার আশেপাশে প্রচুর ঝর্না আছে। তাই আগে সেগুলোই দেখে নিন। দেখে নিন জোনহা ফলস, সীতা ফলস, হোন্ড্রু ফলস, দশম ফলস, গেতলসুদ ড্যাম। মনে রাখবেন এই প্রতিটা জায়গায় কিন্তু অনেকটা করেই সিঁড়ি ভাঙতে হয়। কোথাও প্রায় ৮০০ টা সিঁড়ি কোথাও আবার ১৫০-২০০। তাই সেইভাবে মানসিক প্রস্তুতি এবং জল নিয়ে যাবেন। এছাড়া দেখে নিতে পারেন রাঁচির রক গার্ডেন। প্রথম দুদিন এই জায়গাগুলো ঘুরে নিন।
এবার তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন চলে যান পত্রাতু ভ্যালি। সেখানে দেখে নিজ পত্রাতু লেক এবং ভ্যালি। সঙ্গে ঘুরে নিন নেতারহাটের জঙ্গল। উক্ত লেকে বোটিং করতে পারবেন।
কীভাবে ঘুরবেন?
এখানে আপনারা কতজন যাচ্ছেন সেই অনুযায়ী গাড়ি বুক করে নিন। সাধারণত প্রতিদিন গাড়ি বুক করলে ১০০০ টাকা, সঙ্গে যত কিমি যাবেন বা ঘুরবেন সেই অনুযায়ী প্রতি কিমি ১০ টাকা করে লাগবে। আর নেতারহাটে গিয়ে নাইট স্টে করলে কম বেশি অতিরিক্ত ৫০০-১০০০ টাকা নেবেন গাড়ির চালক।
কীভাবে যাবেন বা ফিরবেন রাঁচি থেকে?
শতাব্দী, বন্দে ভারত, ক্রিয়া যোগ ট্রেনে করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন রাঁচি। তবে আমি বুদ্ধি দেব বন্দে ভারতে যাওয়ার বদলে শতাব্দী বা ক্রিয়া যোগ ট্রেনটি ধরুন। এতে একটা গোটা দিন নষ্ট হবে না। ফিরতি পথে বরং বন্দে ভারতে ফিরুন। এছাড়া যদি নিজের গাড়ি থেকে তাতেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
রাঁচি স্টেশনের কাছে একাধিক হোটেল পেয়ে যাবেন। ১০০০ থেকে ২৫০০ এর মধ্যে একাধিক হোটেল পেয়ে যাবেন থাকার জন্য। টু স্টার টু ফাইভ স্টার সব ধরনের হোটেল পাবেন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী।
তাহলে আর চিন্তা কী বেরিয়ে পড়ুন ঝোলা বেঁধে। পুজোর কদিন কাটিয়ে আসুন পড়শি রাজ্যের অপার সৌন্দর্য দেখে।