আর কিছুদিন পেরোলেই দুর্গাপুজো। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব উপলক্ষে এর মধ্যেই নানা স্থানে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা হোক বা কলকাতা, সবখানেই পুজোর আয়োজনে মেতে উঠেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কোনও স্থানে থিমের পুজো তো কোথাও আবার সাবেকিয়ানাই চোখ টানছে সবার। আবার কোনও কোনও জায়গার সাবেকি পুজোই বরাবর নজর কাড়ে। তেমনই একটি বিখ্যাত পুজো বেলুড় মঠের পুজো। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই পুজো। প্রতিবছর এই পুজো ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা কাজ করে ভক্তদের মধ্যে। খুব সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই পুজোর নির্ঘণ্ট। জেনে নেওয়া যাক এই বছর মঠের পুজোর খুঁটিনাটি।
বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট
- ২১ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার সপ্তমী, পুজো শুরু ভোর সাড়ে ৫টা
- ২২ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার মহাষ্টমী, পুজোর শুরু ভোর সাড়ে ৫টা
- সকাল ৯টায় শুরু কুমারী পুজো, সন্ধিপুজো সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে রাত্রি ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত
- ২৩ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার নবমী, পুজো শুরুভোর সাড়ে ৫টা
- ভোগারতির পরে হোম
- প্রতিদিন ভোগারতির পর পুষ্পাঞ্চলি
- প্রতিদিন সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আরতির পর দেবী দুর্গার আরতি।
প্রসঙ্গত, পুজোর পর নিয়মিত ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয় বেলুড় মঠে। স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি গোটা বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা ভিড় জমান এখানে। ভোরের সময় থেকেই দলে দলে ভিড় করতে শুরু করেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। মাকে দর্শনের পাশাপাশি থাকে শ্রী শ্রী ঠাকুর ও শ্রী শ্রী মায়ের মন্দির এবং স্বামীজির ঘর দেখার সুযোগ। এছাড়া দিনভর নানা অনুষ্ঠানও এই সময় চলে মঠে।
পুজোর দিনে ভক্তদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বেলুড় মঠের কুমারী পুজো। শাস্ত্রমতে কুমারী পুজোর সূচনা হয় বানাসুরকে বধ করার মধ্যে দিয়ে। কথিত রয়েছে, বানাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবতাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারীরূপে বানাসুরকে বধ করেন। শোনা যায় তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজো হয়।