যিশু ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর তৃতীয় দিনে তাঁর অনুগামীদের কাছে ফিরে আসেন বলে মনে করা হয়। আর সেই দিনটিই ছিল রবিবার। তাই রবিবার দিনটিকে ইস্টার সানডে বা রেসারেকশন সানডে হিসেবে উদযাপন করার রীতি রয়েছে। রেসারেকশন শব্দটির অর্থ পুনরুজ্জীবন। কিন্তু কেন এই দিনটি পালন করা হয়? এর নেপথ্যের ইতিহাসই বা কী? জেনে নেওয়া যাক।
ওদের ক্ষমা করো...
খ্রিস্টধর্মের বিশ্বাস অনুসারে যিশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র। তাঁর জন্ম হয় বেথেলহেমে (বা জর্ডন)। মানবকল্যাণেই সর্বদা ধর্মের প্রচার করতেন যিশু। প্রত্যেককে সাহায্য ও ভালোবাসার উপদেশ দিতেন। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত বোধ করতে শুরু করেন। তাঁর নামে রোম সম্রাট পিলাতুসের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা। তখনই রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে যিশুকে বন্দি করা হয়। শাস্তি হিসেবে তাঁকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার মানবজগতের সমস্ত পাপের ফল উদারচিত্তে ভোগ করতে করতে হাসিমুখে ক্রুশবিদ্ধ হন যিশু। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার সময় যিশু বলেছিলেন হে প্রভু ওরা জানে না ওরা কি করছে। ওদের ক্ষমা করো...।
আরও পড়ুন - Good Friday 2025 Messages: ‘মানুষের কল্যাণে যিশুর আত্মত্যাগ…’ গুড ফ্রাইডেতে সবাইকে পাঠান এই বিশেষ বার্তা
যিশুর পুনরুত্থান
শুক্রবারের এই দিনটিকে পালন করা হয় গুড ফ্রাইডে হিসেবে। এর তিন দিন পর রবিবার যিশুর পুনরুজ্জীবন হয়। তাঁর এই পুনরুজ্জীবন বা রেসারেকশনকেই খ্রিস্টধর্মে ইস্টার হিসেবে পালন করা হয়। এই দিন যিশুর পুনরুত্থানকে ঈশ্বরের কৃপা হিসেবেই দেখা হয়। তাই খ্রিস্টধর্মে মহাসমারোহে উদযাপন করা হয় দিনটি।
আরও পড়ুন - World IBS Day 2025: বারবার নিম্নচাপ… মনের ভুল না সত্যি? ৫ কারণে বাড়ে পেটের এই রোগ, সুরাহা আপনার হাতেই
ইস্টার সানডেতে কী করা হয়?
রবিবারের এই বিশেষ পবিত্র দিনে খ্রিস্টমতাবলম্বী মানুষেরা গির্জায় গিয়ে জড়ো হন। সেখানে যিশুর উদ্দেশ্যে এই দিন প্রার্থনা করার রীতি। পাশাপাশি তাঁর দেওয়া মহান উপদেশ স্মরণের রীতি রয়েছে এই দিনে। যিশুর আত্মত্যাগ স্মরণের পর মোমবাতি জ্বালানোর রেওয়াজ পালন করা হয়। এর পর বাইবেল পড়ার রীতি রয়েছে।