শীত হোক কিংবা গরম— ব্রণ হওয়া খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রোজকার জীবনে। লোমকুপের তলায় তেল নিঃসরণ গ্রন্থি এবং মৃত কোষের যুগলবন্দিতে এই সমস্যা হয়। এখন অনেকেই ব্রণ বেরোলে চিকিৎসকের কাছে যান, না হলে অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে, দামি ক্রিম ছাড়াও বাড়িতে খুব সহজ পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন,কীভাবে কমাতে পারেন ব্রণ।
লেবুর রস: লেবুর রস ব্রণতে লাগানো যেতে পারে। তার সঙ্গে দারচিনির মিশ্রন তৈরি করে রাতে শুতে যাবার আগে ব্রণতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উষ্ণ জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নেবেন।
অ্যাসপারিন: এতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড থাকার কারণে ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই শুধু খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয় ব্রণর উপর এই ট্যাবলেট গুঁড়ো করে লাগালে তাড়াতাড়ি ব্রন শুকিয়ে যেতে পারে। দু-চারটে ট্যাবলেট গুঁড়ো করে তাতে জল মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে, রাতে শুতে যাবার আগে পেস্টটা ব্রণর উপর লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার ত্বক স্পর্শকাতর হয়, তাহলে আধ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি: গ্রিনটি ব্রণর বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। গরম জল দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে, তারপর সেটি ঠান্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় লাগিয়ে নিন। তুলো ভিজিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। আবার টি ব্যাগ হলে সেটি ত্বকের উপর মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।
রসুন: ব্রণ রোধে রসুন যেমন খুবই উপকারি, তেমনই ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরো করে কেটে নিয়ে ,তার থেকে রস বের করে নিন। সেই রস ব্রণর জায়গায় লাগান। মিনিট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। আরও ভালো ফল পাবেন যদি সারা রাত এটি লাগিয়ে রাখতে পারেন। তারপর সকালে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
শসা: অনেকেই জানেন, শসা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। শসাতে রয়েছে নানা রকমের গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই— যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। শসাকে থেঁতো করে মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। আরও একটি পদ্ধতি হল, গোল গোল করে শসা কেটে নিয়ে তা জলে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন । তারপর সেই জল খেয়ে নিতেও পারেন, আবার সেই জল দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।