প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাদ্য খাওয়া ভীষণ জরুরী। এমন নয় যে যারা নিরামিষ খাবার খান, তারা প্রোটিন যুক্ত খাবার খাবেন না। যারা নিরামিষ খাবার খান, তারা মাছ মাংসের পরিবর্তে দুধ, ছানা এবং পনির খেতে পারেন। তবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি প্রোটিন থাকে মাংসে।
মাংস খেতে কে না ভালবাসে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা মাংস খাবার সময় অনেকটা মাংস একসঙ্গে খেয়ে ফেলেন। এক্ষেত্রে পরবর্তীকালে গ্যাস, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আপনিও যদি লোভে পড়ে অতিরিক্ত মাংস খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার মেনে চলা উচিত এই ৪টি উপায়। এই উপায় গুলি মেনে চললেই আপনি মাংস খাবার ক্ষেত্রে নিজেকে বশে আনতে পারবেন।
(আরও পড়ুন: : পিসিওএসের সঙ্গে থাইরয়েডের সমস্যা কি সম্পর্কিত? আমাদের সচেতন হতে হবে যে বিষয়ে)
বেশি করে সবজি খান: যেদিন মাংস খাবেন, সেদিন মাংস খাওয়ার পাশাপাশি বেশি করে সবজি খাবেন। মনে রাখবেন আপনি যদি স্যালাড বেশি করে খান, তাহলে আপনার পেট ভর্তি হয়ে যাবে আর আপনি বেশি মাংস খেতে পারবেন না।
ডিপ ফায়ার এড়িয়ে চলুন: মাংস অতিরিক্ত ভেজে কখনওই খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি মাংস সিদ্ধ করে, বেকড করে খান তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো প্রমাণিত হবে। ভাজা মাংস খাওয়া একেবারেই ভালো নয়।
গোটা শস্য খান: মাংসের বদলে যদি ব্রাউন রাইস, বার্লি, হোলমিল বার্গার বান খেতে পারেন তাহলে অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে আপনার।
(আরও পড়ুন: রাখিপূর্ণিমা এখানে ব্ল্যাক ডে, কেন ভারতের এই সমস্ত জায়গায় পালন হয় না এই উৎসব)
অন্যান্য প্রোটিন খাবার খান: মাংস থেকে যে প্রোটিন পান, সেটি আপনি সোয়াবিন, সসেজ টোফু এবং বিভিন্ন ডালের মধ্যে পেয়ে যাবেন। এগুলি যদি আপনি মাংসের পরিবর্তে খান তাহলে মাংস খাওয়া থেকে কিছুটা বিরত থাকতে পারবেন আপনি।
প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মাংস যতই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হোক না কেন, মাংস সব সময় বুঝে শুনে খাওয়াই উচিত। অতিরিক্ত মাংস খেলে শরীরের হাজারো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই বুঝে শুনে মাংস খাওয়া উচিত।