শরীরের প্রত্যেকটি অংশ যদি সঠিকভাবে কাজ করে, তবেই আপনার শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকবে। শরীরের এমন একটি অংশ হল অন্ত্র। এই অন্ত্রকে বলা হয় দ্বিতীয় মস্তিষ্ক, কারণ অন্ত্র যদি সুস্থ না থাকে তাহলে শরীরে তৈরি হয় একাধিক অসুস্থতা। আজ জানুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন কোন কোন খাবার আপনি রাখবেন, যা আপনার 'দ্বিতীয় মস্তিষ্ক'কে রক্ষা করবে।
গোটা শস্য: বহু বছর ধরে গোটা শস্য খাবার চল রয়েছে মানুষের মধ্যে। গোটা শস্যের মধ্যে থাকে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা খারাপ ব্যাকটেরিয়া মেরে দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করে।
(আরো পড়ুন: আরতি কি পাবে আলোর দিশা? উত্তর দেবে 'সাহিত্যের সেরা সময়'-এর নতুন গল্প 'যার যেথা ঘর')
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি অর্থাৎ পালং শাক, ব্রকলি এবং পেঁয়াজকলির মত খাবার যদি আপনি রোজ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং আয়রনের মাত্রা পরিপূর্ণ থাকবে। এগুলি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
চর্বিহীন প্রোটিন: প্রতিদিন মুরগি অথবা জ্যান্ত মাছ খাওয়া উচিত অন্ত্রকে ভালো রাখার জন্য। এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলিতে প্রোটিনের মাত্রা থাকে অনেকটাই বেশি। তুলনামূলকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই থাকে না।
চিনির মাত্রা কম রয়েছে এমন ফল: মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়া একেবারেই ভালো নয় শরীরের পক্ষে, এটা এখন আর কারোর কাছেই অজানা নয়। কম চিনিযুক্ত ফল যেমন কিউই, বেরি এই সমস্ত ফল খেলে আপনার গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় এবং অন্ত্র ভালো থাকে।
প্রচুর পরিমাণে জল: প্রচুর পরিমাণে জল খেলে আপনার শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তো বটেই, আপনার হজম ক্ষমতাও উন্নত হবে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন দূর হয়ে যায়, যার ফলে আপনার অন্ত্র ভালো থাকবে।
(আরো পড়ুন:বর্ষার সঙ্গেই আসছে কনজাংটিভাইটিস! আটকাতে আগেভাগেই খান এই খাবারগুলি)
দই: দই হলো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া। প্রতিদিন দই খেলে রোগ প্রতিরোধ এবং হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়। হজম ক্ষমতা বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকে অন্ত্র।
বাদাম: বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার। প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব হবে না এবং আপনার অন্ত্র সুস্থ থাকবে।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পনিফেনল যা ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রতিদিন রান্নায় অথবা স্যালাডে যদি অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি পাবেন একাধিক উপকারিতা।
অ্যাভোকাডো: এই ফলটি একদিকে যেমন ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল তেমন অন্যদিকে এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। রোজ একটি করে অ্যাভোকাডো ফেলে গ্যাস হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।