রোজ কী খাবেন তার আগে থেকে প্ল্যান বানিয়ে রাখা সত্যি বেশ চাপের বিষয়, বিশেষ করে যদি কাজ, পরিবারের একাধিক জিনিস, ইত্যাদি থাকে তো। কিন্তু এদিকে আবার অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে কী বানাবেন অনেকেই ভেবে উঠতে পারেন না। যা হোক একটা কিছু বানিয়ে নেন যেটা মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় কিন্তু হ্যাঁ ঘরে যা আছে সেটা দিয়ে চটপট বানানো হয়ে যাবে এমন আর কী! কিন্তু এরম রোজ চলতে থাকলে সেটার খারাপ প্রভাব সোজাসুজি আপনার শরীরে পড়বে। তাই চেষ্টা করুন মিল প্ল্যানিং বানানোর। ভাবছেন সেটা কী?
মিল প্ল্যানিং অর্থাৎ গোটা সপ্তাহে কখন কোন খাবার বানাবেন, আর কী খাবেন সেটার লিস্ট বানানো এবং অবশ্যই খাবারের পুষ্টিগুণ দেখে, না আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি এমন খাবার বানাবেন। এবং লিস্ট দেখেই আগে থেকে বাজার, দোকান সেরে রাখবেন যে এই সপ্তাহে রান্না করতে কী কী লাগবে। যাতে রান্না করার সময় অসুবিধায় না পড়তে হয়। ফলে একদিকে যেমন আপনার টাকাও বাঁচবে তেমনই সময় আবার অন্যদিকে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
মিল প্ল্যানিং করার সময় কোন জিনিসগুলো মাথায় রাখবেন ভাবছেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১. প্রথমত একটা প্ল্যান সবার আগে: প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা দিনের কিছুটা সময় বের করে একটা গোটা সপ্তাহের প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন দিন এবং সময় ধরে। ধরা যাক, সোমবার সকালে এটা হবে, দুপুরে এটা, বিকেলের জলখাবারে এটা থাকবে আর রাতে এটা। এভাবে প্রতিদিনের জন্য একটা তালিকা বানিয়ে ফেলুন।
২. ভেবে প্ল্যান বানান: এমন প্ল্যান বানাবেন যা করতে অনেক টাইম লাগবে, আবার এদিকে আপনার সেদিন জলদি বেরোনোর তাড়া আছে। ফলে দুটোকে সামলাতে গিয়ে মেনু কাটছাঁট করে ফেললেন বা বদলেই দিলেন। এমনটা করলে হবে না। তাই আগে থেকে ভেবে, বুঝে প্ল্যান বানান।
৩. কী কী কিনতে হবে দেখুন: লিস্ট বানানোর পর দেখে নিন এগুলো বানাতে কী কী লাগবে, আর ঘরে কী নেই। সেই অনুযায়ী জিনিস কেনার একটা ফর্দ বানিয়ে ফেলুন। এবং দোকান থেকে গিয়ে হোক বা অনলাইনে হোক সেগুলো আনিয়ে নিন। এটা করলে আপনাকে না বারবার দোকান যেতে হবে না বেশি খরচ হবে। সময়, টাকা দুই বাঁচবে।
৪. সপ্তাহান্তের কথা ভুলবেন না: শুধু সোমবার থেকে শুক্রবার ডায়েট করবেন, পুষ্টিকর খাবার খাবেন, আর শনি, রবিবার যে ইচ্ছে হবে তাই এমনটা করলে হবে না। ফলে লিস্ট বানানোর সময় অবশ্যই এই দুটো দিনের প্ল্যানিং সেরে রাখবেন।
৫. যা ভালোবাসেন তালিকায় রাখুন: এবার কেবল পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে বলে পছন্দের সব খাবার বাদ দেওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। কী করবেন সেই ক্ষেত্রে? যা ভালোবাসেন সেগুলোকে অবশ্যই তালিকায় রাখবেন।
৬. অপশন রাখবেন: খাবারের তালিকায় অপশন রাখবেন। হতেই পারে কোনদিন আচমকা কাজ পড়ে গেল। বা কিছু হল, হাতে সময় নেই বেশি তখন কী করবেন ভেবে উঠতে পারবেন না। ফলে হাতের পাঁচ হিসেবে একটা অতিরিক্ত অপশন রেখে দেবেন।