একুশে জুলাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ডিম্ভাত দিবস' বলে ট্রোল করেন অনেকে। কিন্তু যে যা-ই বলুন, কম খরচে এত সুস্বাদু আর পুষ্টিকর আহার কিন্তু কমই আছে। ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে। ভিটামিনে ভরপুর। আর ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা সারাদিন শক্তি জোগান দেবে।
বাড়িতেই না হয় বানিয়ে ফেলুন গরম গরম ডিমের ঝোল। সঙ্গে ভাত। রইল সহজ, সুস্বাদু রেসিপি। কথা দিচ্ছি, দারুণ খেতে হবে (সে আপনি যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন!)
উপকরণ:
১. হাঁসের ডিম হলে ভালো। নয় তো মুরগির ডিমও চলবে
২. নুন, চিনি
৩. গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, গোটা জিরে
৪. সর্ষের তেল
৫. মিহি করে কুঁচো পেঁয়াজ
৬. টম্যাটো বাটা
৭. আদা-রসুন বাটা
৮. চেরা কাঁচা লঙ্কা
৯. ডুমো করে কাটা আলু
প্রণালী:
প্রথমে ডিম সেদ্ধ করে নিন। হাঁসের ডিম হলে ঘড়ি ধরে ৭-৮ মিনিট ফোটাবেন। এর ফলে ডিমের কুসুমে হালকা নরম ভাবটা থাকবে। মুরগির ডিম হলে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। নয় তো ছাড়াতে সমস্যা হবে।
এবার ডিমে অল্প হলুদ ও নুন মাখিয়ে নিন। সেটা সর্ষের তেলে বেশ সোনালী করে ভেজে তুলে নিন। এবার সেই তেলেই নুন-হলুদ মাখিয়ে আলু ভেজে তুলে নিন।
এরপর তেলে গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিন। তেলে সামান্য চিনি দেবেন। এতে রঙটা ভালো আসবে।
তেলে পেঁয়াজ দিয়ে দিন। পেঁয়াজটা বেশ লালচে হয়ে গেলে তাতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে আরও ১ মিনিট মতো ভাজুন।
এবার হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিন। মশলা শুকিয়ে এলে সামান্য জলের ছিটে দিতে পারেন।
মশলার কাঁচা গন্ধ ছেড়ে গেলে তাতে টম্যাটো বাটা-টা দিয়ে দিন। এবার একটু ধৈর্যের ব্যাপার। যতক্ষণ না মশলা থেকে তেল ছেড়ে যাচ্ছে, ভাজতে থাকুন। এই সময়েই স্বাদ মতো নুন দিয়ে দিন।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে গেলে ভেজে রাখা আলুগুলো গিয়ে দিন।
পরিমাণ মতো জল ঢেলে দিন। জল খুব বেশি দেবেন না। ডিম-পিছু আধ বাটি জল দেবেন। আর সেই সঙ্গে আলু সেদ্ধ হওয়ার জন্য কিছুটা বেশি জল দেবেন। উপরে কয়েকটি চেরা কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিন।
এবার চাইলে প্রেশার কুকারে একটি সিটি দিয়ে নিতে পারেন। তাতে তাড়াতাড়ি রান্না হবে। নয় তো এমনিই সেদ্ধ হওয়ার অপেক্ষা করুন।
আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে ঝোলে ডিম দিয়ে দিন। গ্যাস নিভিয়ে দিন।
এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। সঙ্গে একটু পেঁয়াজ-কাঁচা লঙ্কা হলেই জমে যাবে ডিম ভাত!