হাঁস হোক বা মুরগি, ডিমের চাহিদা তাতে একটুও কমে না। কেউ সকালের জলখাবারে ডিম খান, কেউ আবার দুপুরের প্রধান পদ হিসেবে ডিম পছন্দ করেন। অনেকে শরীরের পুষ্টির জন্য একান্তভাবে ডিমের উপরেই ভরসা করেন। রোজ একটি করে ডিম তাঁদের ডায়েটে থাকবেই। পুষ্টিগুণের জন্যই বিভিন্ন রোগে ওষুধের পাশাপাশি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ডিমের মধ্যে থাকা খনিজ পদার্থ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডিম খেলে সহজে কোনও রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। তবে খাবারের ঘটি বাঙাল ভাগাভাগির মতো ডিমেরও কিছু বাছবিছার রয়েছে। অনেকেই মুরগির ডিম সেভাবে পছন্দ করেন না। বরং হাঁসের ডিম তাঁদের বেশি পছন্দ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটো ডিমেই রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ ও শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। তবে দুই আলাদা প্রাণীর ডিম যখন, পুষ্টিগুণের পরিমাণেও সামান্য কিছু হেরফের হওয়া স্বাভাবিক। দেখে নেওয়া যাক, কোন ডিমে কোন পুষ্টিগুণটি কতটা পরিমাণে রয়েছে।
১. প্রোটিন: মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। প্রতি ১০০ গ্ৰাম হাঁসের ডিমে প্রোটিন রয়েছে ১৩.৫ গ্ৰাম। একই পরিমাণ মুরগির ডিম থেকে ১৩.৩ গ্ৰাম প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ ২ গ্ৰামের হেরফের।
২. ফ্যাট: মুরগির ডিমে ফ্যাট হাঁসের ডিমের থেকে কম। ১০০ গ্ৰাম মুরগির ডিমে ফ্যাট রয়েছে ১৩.৩ গ্ৰাম। অন্যদিকে, ১০০ গ্ৰাম হাঁসের ডিমে ফ্যাটের পরিমাণ ১৩.৭ গ্ৰাম। দেখা যাচ্ছে, হাঁসের ডিমে ৪ গ্ৰাম বেশি ফ্যাট রয়েছে।
৩. ক্যালোরি: প্রতি ১০০ গ্ৰাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮১ ক্যালোরি শক্তি মেলে। অন্যদিকে মুরগির ডিমে খাদ্যশক্তির পরিমাণ ১৭৩ ক্যালোরি। অর্থাৎ হাঁসের ডিম আপনাকে বেশি শক্তি জোগাবে।
৪. খনিজ পদার্থ: ১০০ গ্ৰাম মুরগির ডিমে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৬০ মিলিগ্ৰাম। অন্যদিকে সমপরিমাণ হাঁসের ডিমে ক্যালসিয়াম ৭০ মিলিগ্ৰাম। ১০০ গ্ৰাম মুরগির আয়রন ২.১ মিলিগ্ৰাম। অন্যদিকে হাঁসের ডিমে রয়েছে ৩ মিলিগ্ৰাম আয়রন।
৫. ভিটামিন এ: ১০০ গ্ৰাম হাঁসের ডিমে ভিটামিন এ রয়েছে ২৬৯ মাইক্রোগ্ৰাম। অন্যদিকে মুরগির ডিমে এর পরিমাণ ২৯৯ মাইক্রোগ্ৰাম। অর্থাৎ মুরগির ডিম বেশি ভিটামিন এ-এর উৎস।