পবিত্র রমজান মাসের শেষে নতুন চাঁদ দেখা মাত্রই ঘোষিত হয় 'ইদ মোবারক' এর বার্তা। বিশ্ব জুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে ওঠেন খুশির ইদের আনন্দে। আর ভারতে এই উৎসবের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় উদযাপনের মরশুম। ইদ উপলক্ষ্যে চলে বিশেষ প্রার্থনা, দেখা যায় সৌভ্রাতৃত্বের নানান ছবি। তার সঙ্গেই চলে নতুন পোশাক পরার রীতি, চলে জিভে জল আনা বেশ কিছু পদের রান্না, খাওয়া দাওয়া। উল্লেখ্য, সামনেই রয়েছে খুশির ইদের তারিখ।
ইদ উল-ফিতরকে অনেকেই 'মিঠি ইদ' বলেও সম্বোধন করেন। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের দশম মাসের প্রথম দিনে পালিত হয় ইদ। এই বছর ৩ রা মে রয়েছে ইদের সরকারি ছুটি। তবে নতুন চাঁদ দেখার উপরই নির্ভর করবে ইদের তারিখ। উল্লেখ্য, ২ রা মে থেকে ৩ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রয়েছে এর তারিখ। প্রসঙ্গত, হিজরি ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভর করে প্রতিবছর ইদের দিন পাল্টে যায়।
প্রসঙ্গত, আরবি শব্দ হল ইদ উল-ফিতর। ইদ শব্দটি এসেছে 'আউদ' শব্দ থেকে যার অর্থ উৎসব, যা বারবার ফিরে আসে। আর 'ফিতর' শব্দের অর্থ হল উপবাস ভেঙে দেওয়া। প্রসঙ্গত পবিত্র রমজান মাসের রোজা বা উপবাস রাখেন বহু ইসলামধর্মী মানুষ। আর রোজা ভেঙে পালিত হয় ইদ। রমজান মাস কখনও ২৯ দিনে হয়, আবার কখনও ৩০ দিনে। রমজানের শেষ দিনে চাঁদ দেখার পরই খুশির ইদ পালিত হয়। প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্মের ক্যালেন্ডার লুনার বা চন্দ্র ক্যালেন্ডারে নির্ভরশীল। আর সেই ক্যালেন্ডার মেনে প্রতিবছর আলাদা আলাদা দিনে পালিত হয় ইদ।
এমন উৎসবে গোটা রমজান মাস ধরে মনের সমস্ত নেতিবাচক ভাবনা, কলুসতা ঝেরে পবিত্রতার পথে এগিয়ে যান বহু ইসলামধর্মী মানুষ পালন করেন রোজা। সংযম, সত্যনিষ্ঠা, সদভাবনা নিয়ে এক মাস যাপন করার পর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন খুশির ইদের আনন্দ। ছড়িয়ে পড়ে ভালবাসা ও সৌহার্দের বার্তা। ইতিহাস অনুযায়ী, এই উৎসবের সূচনা করেন স্বয়ং ইসলামের নবী হজরত মহম্মদ। সেই রীতি ধরে ইসলামি ক্যালেন্ডারের দশম মাস শওয়াল মাসে পালিত হয় এই উৎসব।