বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Homemade Wind Turbine: ইলেকট্রিকের জন্য আর এক টাকাও খরচ হবে না, বাড়িতেই দরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যক্তির

Homemade Wind Turbine: ইলেকট্রিকের জন্য আর এক টাকাও খরচ হবে না, বাড়িতেই দরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যক্তির

প্রতীকী ছবি

Man Has Designed A Homemade Wind Turbine: বাড়ির যতটা প্রয়োজন, তার পুরো বিদ্যুৎই নিজের তৈরি হওয়াকল থেকে পেয়ে যাচ্ছেন এই ব্যক্তি। এটিই কি সকলের ভবিষ্যৎ?

ইলেকট্রিকের জন্য প্রত্যেক মাসেই বেশ কিছু টাকা খরচ হয় সকলের। কিন্তু কেমন হত যদি এই খরচটা শূন্যতে নেমে আসত? এমন কথা অনেকেই ভাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠে না। তবে এটি সত্যি হয়েছে। কেরলের আইপি পল নামের এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে। কী করেছেন তিনি?

বাড়িতে এই উইন্ড মিল বা হাওয়াকল বানিয়ে ফেলেছেন এই ব্যক্তি। সেটি বসিয়েছেন বাড়ির ছাদে। আর তাতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে, তা দিয়ে বাড়ির সব ইলেকট্রিকের চাহিদা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। আলাদা করে বিদ্যুৎ পরিষেবার উপর ভরসা করতে হচ্ছে না। 

কীভাবে শুরু হল এই যন্ত্র তৈরি? 

সংবাদমাধ্যমকে পল জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তাঁর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির উপর আগ্রহ ছিল। তিনি ব্যাটারি, বাল্ব— এসব নিয়ে নানা জিনিস তৈরি করতেন। তার পরে এক সময়ে তাঁর মনে হয়েছিল, বাড়ির জন্য ছোট হাওয়াকল বানাবেন তিনি। তিনি পেশার কারণে তিনি আরবে চলে যেতে বাধ্য হন। সেখানেই ১৫ বছর ইলেকট্রিকের কর্মী হিসাবে কাজ করেন। তার পরে ২০০৮ সালে বাড়ি ফিরে আসেন। আর ফিরে এসেই বসে পড়েন সেই চোটবেলার স্বপ্ন সফল করতে। 

১৩ বছর লেগেছে যন্ত্রটি বানাতে

পল জানিয়েছেন, প্রথমে ভেবেছিলেন সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুতের জোগান করবেন। কিন্তু বিষয়টি রোদের উপর নির্ভরশীল। ফলে রাতে বা মেঘলা দিনে এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তখনই মাথায় আসে হাওয়াকলের কথা। কিন্তু সেটি খুব খরচসাপেক্ষ হবে। তখনই পল ঠিক করেন, এমন এক হাওয়া কল বানাবেন, যেটি কম খরচে বাড়ির সব বিদ্যুতের জোগান দেবে। আর সেটি করতে গিয়েই ১৩ বছর লেগে গিয়েছে তাঁর।

সাধারণ হাওয়াতেই কাজ করবে এটি

১২ ফুট লম্বা, ৩৫ কিলোগ্রাম ওজনের এই হাওয়াকল সাধারণ বাতাসেই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পল। প্রথমে সেটি তিনি বাগানে বসিয়েছিলেন। পরে ছাদে তুলে দিয়েছেন। 

তাঁর বক্তব্য, আসল চ্যালেঞ্জ ছিল ব্লেডগুলি বানানো। সে জন্য তিনি ফাইবার গ্লাস আর কাঠ ব্যবহার করেছেন। 

এই হাওয়াকলের গ্রহণযোগ্যতা

এই যন্ত্রটি তৈরি করতে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন পল। জানিয়েছেন, এই কাজ করতে গিয়ে প্রথমে অনেকেরই ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে বাড়ির লোকজনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলেই তাঁর প্রশংসাই করছেন।

এই হাওয়াকলের ভবিষ্যৎ

ইতিমধ্যেই দেশ তো বটেই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসার প্রস্তাব পেয়েছেন পল। বলেছেন, অনেকেই মনে করছেন, এমন যন্ত্রই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এতে পরিবেশ বাঁচবে, জ্বালানি বাঁচবে। অনেকেরই সাশ্রয়ও হবে। 

বন্ধ করুন