প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং মহাকাশের অপার রহস্য অনুসন্ধানে যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য বিখ্যাত ইলন মাস্কের স্পেসএক্স বর্তমানে পৃথিবীর গন্ডি পেরিয়ে মঙ্গল গ্রহে মানববসতি স্থাপনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন যে, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে স্পেসএক্সের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং গবেষণার ফলস্বরূপ মঙ্গল গ্রহে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
আমেরিকার অন্যতম শিল্পপতি ইলন মাস্কের ভাবনা সব সময়ই গগনচুম্বী। দীর্ঘ ৯ মাসের পর গত বুধবার সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে আনলেন ইলন মাস্কের স্পেস এক্স। নাসার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এবার তাঁর লক্ষ্য মঙ্গলের মাটি।
সম্প্রতি ফক্স নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে মাস্ক জানান, আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যেই স্পেস এক্স মানুষকে নিয়ে যাবে মঙ্গলে। কেবল মহাকাশচারী নয়, এবার সাধারণ মানুষকেও মহাকাশযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তাঁর।
আরও পড়ুন - Sunita Williams:ভারতে আসলেই 'সামোস পার্টি'! উৎসবে মাতোয়ারা গুজরাটে সুনীতার পৈতৃক গ্রাম-Report
প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সুনিতা ও বুচের পৃথিবীতে ফিরতে বেশ খানিকটা বিলম্ব হয়। কিন্তু পরে নাসার সহযোগিতায় নিরাপদভাবে জলপথে, ফ্লোরিডা উপকূলের কাছে অবতরণ সম্ভব হয়। গত বছর জুন মাসে সুনিতা ও বুচ স্টারলাইনারের সাহায্যে মহাকাশে সফল উড়ান দিতে সক্ষম হন। এই ক্রুর ড্রাগন ফ্লাইটের খরচ ছিল ১০০-১৫০ মিলিয়ন ডলার।
মহাকাশচারীদের নিরাপদ ভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য নাসাও সাধুবাদ জানিয়েছে মাস্কের স্পেস এক্স টিমকে। তবে নয় মাসের এই দীর্ঘ বিলম্বের কারণ হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মাস্ক উভয়ই দায়ী করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তাদের মতে, এটি ছিল একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
আরও পড়ুন - Sunita Williams:রাজনৈতিক কারণে সুনীতাদের ফেরেননি বাইডেন! বিস্ফোরক অভিযোগ মাস্কের
তবে এই দুই অভিজ্ঞ মহাকাশচারীর সফল অবতরণের পর মাস্ক তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলি নিয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। তাই অকপটভাবেই তিনি বিশ্ববাসীর কাছে ঘোষণা করলেন তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপটির কথা। আগামী দুই থেকে তিন দশকের মধ্যেই মঙ্গলের মাটিতে পা রাখা সম্ভব হবে এমনটাই জানালেন মাস্ক। সাধারণ মানুষকেও মঙ্গলে পৌঁছে দেওয়ার দূরদৃষ্টি পরিকল্পনা রয়েছে মাস্কের।