এক রাজ্য থেকে গাড়ি চুরি করে অন্য রাজ্যে তা বিক্রি করাই ছিল শেখাওয়াতের কাজ। তবে কম দামি গাড়িতে বিশেষ আগ্রহ নেই শেখাওয়াতের। ‘লুটি তো ভাণ্ডার’-এর মতোই তিনি নাকি একের পর এক দামি গাড়িই চুরি করেছেন। এবং সেই চুরিগুলিকেও নিয়ে গিয়েছেন শিল্পের পর্যায়ে। এহেন সত্যেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে দীর্ঘ দিন থকে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু এমনই তাঁর বুদ্ধি যে এক রাজ্যের পুলিশ যখন তাঁকে খুঁজছে, তিনি তখন বসে আছেন অন্য রাজ্যে।
কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অবশেষে বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। MBA Graduate শেখাওয়াত সম্পর্কে অবশ্য অনেকেই বলছেন, তিনি গাড়ি চুরির পদ্ধতিটিকে নাকি প্রায় ‘শিল্প’-এর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, গাড়ি চুরির জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিতেন তিনি। এমন বহু সরঞ্জাম কিনতে, যেগুলির দাম লক্ষাধিক টাকা। অনলাইনে সে সব কিনে বানিয়ে ফেলেছিলেন গাড়ি চুরি রীতিমতো পরিকাঠামো। গাড়ির লক সিস্টেম হ্যাক করে বানিয়ে ফেলতেন নিখুঁত চাবি।
এহেন শেখাওয়াত প্রথম নজরে পড়েন ২০২১ সালে। বানজারা হিলসের স্টার হোটেলের বাইরে থেকে তিনি একটি বিলাসবহুল গাড়ি। ওই গাড়িটি ছিল কন্নড় চলচ্চিত্রের নামজাদা প্রযোজক ভি মঞ্জুনাথের। তার পর থেকেই শেখাওয়াতকে নিয়ে জোরদার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিনি। তাঁকে তদন্তের প্রয়োজনে বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।