পরিবেশ দূষণ বর্তমান পৃথিবীর এক জ্বলন্ত সমস্যা। এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। পরিবেশ দূষণে কেবলমাত্র মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে না, এই দূষণের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বহু মানুষের জীবিকা। সম্প্রতি এক গবেষণায় পরিবেশ দূষণ নিয়ে আরও এক আশঙ্কার কথা শোনা গেল।
সম্প্রতি কানাডারUniversity of Waterloo-র বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, ওজোন স্তরের যে গর্ত ছিল, তা অনেকটাই বড় আকার নিয়েছে। ওই গবেষকদের মতে, শেষ বারের তুলনায় প্রায় ৭গুণ বড় হয়েছে গর্তটি। খবর আমেরিকারAIP Advanceজানার্ল সূত্রে পাওয়া গিয়েছে।
গবেষক দলের সদস্যQing-Bin Lu বলেছেন, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরেই ক্রান্তীয় অঞ্চলের উপর ওজোন স্তরের এই গর্তটি অবস্থান করছে।
ওজোন স্তরের এই গর্তটি কী? (What is this hole in the ozone layer)
আমেরিকার স্পেস গবেষণা সংস্থাNASA-র মতে, ওজোনস্তর ওজোন গ্যাসের একটি বলয়। এই বলয়টি ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে আটকায়। এই স্তরের কোথাও গর্ত হলে, সেখান দিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করেত থাকে। এই গর্তটি তেমনই। পরিবেশবিদদের মতে, এই গর্তটি দিয়ে বায়ুমন্ডলের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে ২৫ শতাংশ বেশি অথিবেগুনি রশ্মি আমাদের পরিবেশে প্রবেশ করে।
ওজোন স্তরে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণ কী? (What causes ozone depletion)
NASA-র মতে, ওজনস্তরে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণchlorofluorocarbons (CFCs)। ফ্রিজ বা এই ধরনের যন্ত্র থেকেCFC রাসায়নিক নির্গত হয়ে বায়ুমন্ডলে মেশে। তারপর বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে এই রাসায়নিক দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়। এই রাসায়নিক থেকে নির্গত ক্লোরিন অতিবেগুনি রশ্মির সঙ্গে মিশে গিয়ে ওজোন স্তরের ব্যাপক ক্ষতি করে। যার ফলস্বরূপ ওজোন স্তরের গর্ত ক্রমশ বড় হতে থাকে।
ওজোনস্তরের এই পরিবর্তনের ফলে কী হতে পারে? (What can happen as a result of this hole in the ozone layer)
গবেষকদলের অন্যতম সদস্যQing-Bin Lu বলেছেন, ওজোন স্তরের এই পরিবর্তন বিশ্বের পরিবেশের কাছে অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। তাঁর মতে এই ঘটনার ফলে অতিবেগুনি রশ্মির বিকীরণের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যার ফলে ক্যানসার বা ক্যাটারাক্টের মতো রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া ও বাস্তুতন্ত্রের উপর সার্বিক বিপর্যয় নেমে আসার জন্য, গবেষকরা ওজোন স্তরের এই পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন।