বলা হয়, সময় সবকিছু বদলে দিতে পারে। হাতে সময় থাকলে এমন এমন কাজ করা সম্ভব, যা হয়ত কখনও ভেবেও দেখেননি কেউ। এমনই ধারণা নিয়ে গবেষকরা বলেছিলেন, কোনও বাঁদর যদি অনেক সময় পায়। এবং সেই অসীম সময়ের জন্য একটি কীবোর্ডে এলোমেলোভাবে টাইপ করে, তবে একটা সময় পরে গিয়ে ওই বাঁদর অবশেষে শেক্সপিয়রের সমস্ত কাজ টাইপ করে ফেলবে। 'ইনফিনাইট মাঙ্কি থিওরেম' এমনই ধারণা দেয়।
এবার, ১০০ বছর ধরে ধারণা দিয়ে আসা, এই 'ইনফিনাইট মাঙ্কি থিওরেম'র যুক্তিকে ভুল বলে চিহ্নিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুইজন গণিতবিদ। তাঁদের দাবি, এই ধারণাটি আসলে বিভ্রান্তিকর। তাঁদের গণনা বলছে যে যদি পৃথিবীর সমস্ত বাঁদরের কাছে মহাবিশ্বের সম্পূর্ণ জীবনকালও থাকে, তাও এটি 'প্রায় নিশ্চিত' যে তারা কখনোই শেক্সপিয়র লিখতে পারবে না।
আরও পড়ুন: (Veg Chocolate Cake Recipe: বাসি ভাত দিয়েতৈরি করুন মজাদার ভেজ চকোলেট কেক, ওভেনও জ্বালাতে লাগবে না)
৩০টি কী সহ একটি কীবোর্ডে একটি বাঁদর প্রতি সেকেন্ডে একটি করে কী টাইপ করেছে। ৩০ বছর ধরে এই বাঁদরের এই কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নিজেদের গণনা করেছিলেন গণিতবিদরা। সেখানেই গণিতবিদেরা আরও দেখেছেন যে এমনকি বিপুল সংখ্যক বাঁদর থাকা সত্ত্বেও, তারা শেক্সপিয়ারের নাটকের মতো জটিল কিছু, কখনোই এলোমেলোভাবে টাইপ করতে পারবে না। উদাহরণস্বরূপ, কোনও বাঁদর তার জীবদ্দশায় 'কলা' শব্দটি টাইপ করার মাত্র ৫ শতাংশ সম্ভাবনা ছিল। অথচ, শেক্সপিয়রে ৮৮৪,৬৪৭টি শব্দ রয়েছে - আর তাদের কোনটিই 'কলা' নয়। তাহলে বাঁদরদের পক্ষে কীভাবে সম্ভব।
পৃথিবীতে আপাতত প্রায় ২০০,০০০ শিম্পাঞ্জি রয়েছে। তারা সবাই মিলেও যদি এলোমেলোভাবে টাইপ করে, তাও তাদের পক্ষে শেক্সপিয়ার লেখা সম্ভব নয়। এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। আসলে, বাঁদরের শ্রম কখনোই মানুষের সৃজনশীলতা এবং মেধার উপরে যেতে পারে না। উইলিয়াম শেক্সপিয়র নিজেই এমনটা মনে করতেন বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
আরও পড়ুন: (Parenting Tips: ৭ থেকে ১২ মাসের শিশুকে এই খাবারগুলি খাওয়ান, ওর বৃদ্ধির জন্য এগুলোসবচেয়ে ভালো)
প্রসঙ্গত, 'ইনফিনাইট মাঙ্কি থিওরেম' কোথা থেকে এসেছে তা সঠিকভাবে কেউ জানে না। এটির জন্য সাধারণত ফরাসী গণিতবিদ এমিল বোরেল বা ব্রিটিশ বিজ্ঞানী থমাস হাক্সলিকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং কেউ কেউ মনে করেন এটি অ্যারিস্টটলের তৈরি।