একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে অতিরিক্ত ফোন ঘাঁটলে কী সমস্যা হতে পারে। এটা শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই গবেষণাপত্রটি ইউরোপিয়ান সোসাইটির পেডিয়াট্রিক এন্ডক্রিনোলোজি মিটিংয়ে পেশ করা হয়েছিল। এখানে দেখা গিয়েছে যে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট থেকে যে ক্ষতিকর নীল রশ্মি বেরোয় তাতে নানান হরমোনাল পরিবর্তন দেখা দেয় এবং বয়সের আগেই বয়ঃসন্ধি এসে যায় মেয়েদের ক্ষেত্রে।
অতিরিক্ত সময় এই নীল আলোর মধ্যে কাটালে মেলাটোনিন লেভেল কমিয়ে দেয় শরীরের, একই সঙ্গে বেশ কিছু রিপ্রোডাক্টিভ হরমোনের লেভেল বেড়ে যায়। এই নীল আলোর কারণে শিশুদের উপর যে কুপ্রভাব পড়ে তার অন্যতম। কারণ হল শিশুদের শোয়ার ধরন। আর এই নীল রশ্মির কারণে যে শুধু উল্লিখিত এই সমস্যাগুলোই হবে তা নয়, বরং আরও অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন বন্ধ্যত্ব সহ একাধিক অন্যান্য ক্ষতি।
এই ক্ষতিকর নীল রশ্মি শিশুদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?
অতিরিক্ত ফোন ঘাঁটা মানেই অতিরিক্ত সময় এই নীল আলোর মধ্যে থাকা যা শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাদের বডি ক্লকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
মেলাটোনিন লেভেল বয়ঃসন্ধি বয়সের আগে অনেক বেশি থাকে, যার কারণে বয়ঃসন্ধি দেরি আসে। কিন্তু অতিরিক্ত নীল আলোতে থাকলে মেলাটোনিন লেভেল কমে যায়, যার কারণে বয়সের আগেই বয়ঃসন্ধি এসে যায়।
শুধু তাই নয়, অল্প বয়সেই ওভারিয়ান টিস্যুতে পরিবর্তন দেখা যেতে পারে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে। ওয়েস্ট্রাডিওল এবং লুটেইননাইজিং হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায়। এগুলো সব রিপ্রোডাক্টিভ হরমোন। আর এই প্রতিটা জিনিস বয়ঃসন্ধির সঙ্গে জড়িত।
এই গবেষণাটি মূলত ইঁদুরদের উপর করা হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে যে ইঁদুরগুলো বারো ঘণ্টা নীল আলোয় থেকেছে তাদের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডিম্বাশয়ে প্রদাহ দেখা গিয়েছে। এর কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
এই ক্ষেত্রে কী করা উচিত? কী করে নিজেকে এবং সন্তানকে এই ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে বাঁচাবেন জেনে নিন।
রাতে একটা নাইট ল্যাম্প জ্বালিয়ে ঘুমাবেন। এতে পুরো অন্ধকারে ফোন ঘাঁটলে যে ক্ষতি হয়, যতটা পরিমাণ নীল রশ্মি বেরোয় সেটা হবে না। বয়ঃসন্ধির শিশুদের বেশি মাত্রায় ফোন ঘাঁটতে দেবেন না। তাদের উপরেই সব থেকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে এই নীল রশ্মির।