আমাদের আশপাশে অনেকেই থাকেন, তবে যাঁর উপর জীবনভর আস্থা রাখা যায়, করা যায় বিশ্বাস, তাঁকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। সঠিক মানুষটিকে কীভাবে চিনে নিতে হবে, তা নির্ধারণ করতে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। অনেক সময়ই আপাতভাবে যাঁকে 'উপযুক্ত' মনে হয়, তিনি সবসময় যে উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারবেনই, তা নয়। উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেকের জীবনেই নিজস্ব চাওয়া পাওয়ার গণ্ডি আলাদা থাকে। সেই অনুযায়ী সঙ্গীকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত তৈরি হয়।
বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমষ্টি একটি মানুষের জীবন। সেই সমষ্টিগুলির মধ্যে অন্যতম হল 'না' বলতে পারার ক্ষমতা। কোন ক্ষেত্রে 'না' বলা প্রয়োজনীয়, আর কোন ক্ষেত্রে তা একেবারেই বলা যায় না, তার ওপরে জীবনের বহু সিদ্ধান্ত টিকে থাকে। মূলত, একাকীত্বকে ভাগ করে নেওয়া বা একাকীত্বকে কাটিয়ে তোলার জন্য একজন মানুষ সঙ্গী খোঁজেন।
তবে সেই সঙ্গী যদি আরও বেশি করে একাকীত্ব বোধ সেই মানুষটির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেন , তাহলে তার সুফল কিছুতেই আসে না। সঙ্গী বা বন্ধুকে বাছাই করার আগে, কয়েকটি দিক খেয়াল রাখা খুবই জরুরি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞ নেদ্রা গ্লোভার তাওয়াব বলছেন, একজন মানুষ নিজে এই সিদ্ধান্ত নিলে তার সুফল তিনি বিভিন্নভাবে পান। 'সঠিক ব্যক্তি'কে খুঁজে বের করতে তাঁর পরামর্শ-
-সেই সমস্ত গুণ সঙ্গীর মধ্যে থাকতে হবে যা আপনার পক্ষে স্বাস্থ্যকর। অর্থাৎ মানসিকভাবে সেই সমস্ত গুণ আপনার পক্ষে স্বাস্থ্যকর হতে হবে।
-ব্যক্তির 'লং টার্ম' গুণ কী কী থাকতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী নিতে হবে সিদ্ধান্ত।
-যে সমস্ত গুণ নিয়ে আগে তোয়াক্কা করেননি, সঙ্গীকে বেছে নিতে সেই সমস্ত গুণের দিকে খেয়াল করা জরুরি।
-সঙ্গীর মধ্যে এমন কোনও গুণ খুঁজে নিন, যা তাঁর প্রতি আপনাকে অনুরাগী করে তুলবে।
-ব্যক্তি রাগের সময় কীভাবে রিয়্যাক্ট করেন, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। ভাবুন, তাঁর রাগের সঙ্গে আপনার মান অভিমান কতটা সামঞ্জস্য রাখতে পারবে।