পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ থাকে সংসার। কিন্তু যখন ওই পরিবারে কিছু ভুল অভ্যাস এবং নেতিবাচক আচরণ এসে হামলা চালা, তখন সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব এবং বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভারতীয় সমাজে, পুত্রবধূকে পরিবারের মেরুদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যিনি সকল সদস্যকে একত্রিত রাখতে সক্ষম। অনেক সময়, পুত্রবধূর খারাপ আচরণ এবং খারাপ অভ্যাস পরিবার ভেঙে ফেলার মুলে থাকতে পারে। তা পুরো পরিবারকে প্রভাবিত করতে পারে।
পুত্রবধূর কোন অভ্যাস পরিবারে ফাটল তৈরি করতে পারে
সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করা
পুত্রবধূ যদি ছোট-বড় প্রতিটি বিষয় নিয়েই অভিযোগ করতে থাকেন, তাহলে তা ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে। পরিবারের সদস্যরা একে অপরের প্রতি বিরক্ত হতে শুরু করেন। যেমন, যদি পুত্রবধূ পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন, সবকিছুতে দোষ খুঁজে বের করে অথবা অন্যদের হেয় করার চেষ্টা করেন, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
পরিবারের নিয়ম-কানুন না মানা
প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং জীবনধারা থাকে, যা বোঝা এবং গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি পুত্রবধূ বিনা কারণে প্রতিটি ঐতিহ্যের বিরোধিতা করেন, অথবা তা মেনে চলতে অস্বীকার করেন, তাহলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। বড়দের সম্মান না করা এবং তাঁদের কথা উপেক্ষা করাও সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা তৈরি করতে পারে।
স্বামীকে পরিবার থেকে দূরে রাখার চেষ্টা
বিয়ের পর, অনেক পুত্রবধূই চান যে স্বামী কেবল তাঁদের কথা শুনুন এবং পরিবার থেকে দূরে থাকুক। স্বামীকে তাঁর বাবা-মা, ভাইবোনদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ভুল পরামর্শ দেওয়া একটি খারাপ অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে করে কেবল বাড়িতে দ্বন্দ্বই বাড়ে না, বরং স্বামীও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন।
আর্থিক বিষয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন হওয়া
পুত্রবধূ যদি চিন্তা না করে খরচ করে এবং বাজেটের দিকে মনোযোগ না দেয়, তাহলে পরিবারকে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। টাকা সঞ্চয় না করা এবং শুধুমাত্র ব্যয়বহুল শখের উপর মনোযোগ দেওয়া একটি খারাপ অভ্যাস হতে পারে। বাড়ির আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব এবং গোপনে অর্থ খরচ করাও পরিবারে ফাটল তৈরি করতে পারে।
মিথ্যা বলা এবং ভুল বোঝাবুঝি ছড়ানো
অনেক সময় কিছু পুত্রবধূ মিথ্যা গল্প তৈরি করেন এবং পরিবারে ঝগড়া বাড়ে। বিকৃতভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির মধ্যে বিরোধ তৈরি করা ঘরে কলহের সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের আচরণ ধীরে ধীরে পুরো পরিবারের সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়।
উল্লেখ্য, এরই সঙ্গে পরিবারেও উচিত গৃহবধূর কথা মন দিয়ে শোনা, তাঁর সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করা। না হলে অনেকসময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংসারে কলহ আসে।