মেদ ঝরানোর জন্য কঠোর প্রয়াস করতে গিয়ে, কঠিন রুটিন মেনে ক্যালোরি পোড়ালেও বাড়তে পারে বিপদ। স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তাই আগেভাগে সাবধান করছেন পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে উৎসাহিত করেই, মূলত ইনস্টাগ্রামে সহায়ক পুষ্টির টিপস শেয়ার করেন তিনি। সম্প্রতি, একটি ভিডিয়োতেও, এ সম্পর্কে এমন কিছু বলেছেন, যা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
পুষ্টিবিদের স্পষ্ট দাবি, ক্যালোরি কাটাতে গিয়ে কখনও কখনও আমরা সতর্ক না হলে আমাদের শরীরে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছিলেন যে আমাদের খাদ্যে কার্বোহাইড্রেট কমানো ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে ঠিকই, এটি পরে ক্রেভিংস বাড়িয়ে দিতে পারে, খাওয়ার প্রতি অত্যধিক আকর্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: (Winter Cleaning Tips: ডাবল বেডের ভারী কম্বল নিমিষেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, জেনে নিন সহজ টিপস)
ক্যালোরি পোড়াতে গিয়ে কী অসুবিধা হতে পারে
শালিনী সুধাকর ব্যাখ্যা করেন যে যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করি, তখন আমাদের শরীর এনার্জির জন্য চর্বি ব্যবহার করতে শুরু করে, যা আমাদের চর্বি পোড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। যাইহোক, এটি শুধুমাত্র ২-৩ সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। এর পরে, আমরা ক্ষুধার্ত বোধ করতে শুরু করি এবং বিশেষত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ, আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আরও বেশি কার্বোহাইড্রেট খেয়ে ফেলি, যার ফলে আমাদের কমে যাওয়া ওজন ফিরে আসতে পারে, এমনকি আমরা যতটা ওজন কমিয়েছি, তার চেয়েও বেশি বাড়িয়ে বসতে পারি।
আরও পড়ুন: (Beauty Mantra for Winter: টমেটো দিয়েই ত্বক হবে দুর্দান্ত! শীতকালের এই বিউটি মন্ত্রটা এখনই জেনে নিন)
ওজন কমানোর পর তা স্থিতিশীল রাখার নিয়ম
পুষ্টিবিদ ওজন কমাতে এবং এটি স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করার জন্য তিনটি সহজ পদক্ষেপ ভাগ করেছেন:
- প্রোটিন এবং ফাইবার: আপনার কোনও বিশেষ খাদ্যের প্রয়োজন নেই- বাড়িতে অন্য সবাই যা খাচ্ছেন তা খাবেন, তবে খাবারে সর্বদা প্রোটিন এবং ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। এটি কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি বজায় রাখে।
- ব্যায়াম: দিনে এক ঘণ্টা, সপ্তাহে ৬ দিন ব্যায়াম করুন। এটি যে কোনও ধরনের ব্যায়াম হতে পারে, এমনকি হাঁটার মতো সহজ কিছু ওয়ার্কআউটও করতে পারেন। বিশেষ করে যেহেতু আজকের দিনে বেশিরভাগ ব্যক্তিই বসে কাজ করেন, তাই এ ক্ষেত্রে মূল বিষয় হল সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকা, কারণ মনে রাখবেন ব্যায়াম ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: রাত ১০:৩০ টার আগে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। আপনার ঘুমের সময়সূচীর সঙ্গে তালগোল পাকালে আপনার শরীরের স্বাভাবিক ছন্দকে বিপর্যস্ত করতে পারে, যা আপনার কর্টিসলের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। যখন কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকে, তখন আপনার শরীরে আরও চর্বি জমা হওয়ার প্রবণতা থাকে, যা ওজন কমানো কঠিন করে তুলতে পারে।