মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বইয়ে শব্দ নিয়ে চ্যাপ্টারগুলি রয়েছে, সেগুলি এবার বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে। শউধু মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক কেন, পৃথিবীর যে কোনও বিজ্ঞান বইয়ের ক্ষেত্রেই এই কথাটি সত্যি। কারণটি শুনলে অবাক হবেন।
হলে এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এত দিন শব্দের গতি বলতে আমরা কী বুঝতাম?
বিজ্ঞান বই বলছে, ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শুকনো বাতাসে শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১.২৯ মিটার। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বাড়লে বা উষ্ণতা বাড়লে এই গতি বদলাতে পারে। যেমন শুকনো বাতাসে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শব্দের গতি হয়ে যায় প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৪৩ মিটার। কিন্তু পরিস্থিতি না বদলালেও কিশব্দের গতি বদলে যেতে পারে?
এমন কোনও উদাহরণ এর আগে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার তেমনই কিছু জানা গেল। তবে এটি পৃথিবীতে নয়। মঙ্গলগ্রহে।
মঙ্গলের মাটিতে প্রথম বার শব্দ রেকর্ড করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা গিয়েছে, পরিস্থিতি এক থাকা সত্ত্বেও বদলে যাচ্ছে শব্দের গতি। এতে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবং এর ফলে শব্দ সম্পর্কে চিরাচরিত ধারণার অনেক খানিই বদলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের মাটিতে উচ্চ এবং নিম্ন কম্পাঙ্কের শব্দের গতি সম্পূর্ণ আলাদা। পৃথিবীতে এমনটা নয়। এমন হলে একাধিক বাদ্যযন্ত্র একসঙ্গে বাজলে আমরা তা ঠিক করে শুনতে পেতাম না। বিভিন্ন ধরনের কম্পাঙ্কের বাদ্যযন্ত্র থেকে তৈরি হওয়া শব্দ, একই সময়ে আমাদের কানে পৌঁছোয়, কারণ কম্পাঙ্ক আলাদা হলেও সেই শব্দগুলির গতি একই থাকে। কিন্তু মঙ্গলগ্রহে শব্দ এই নিয়ম মানছে না।
এর কারণ কী হতে পারে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। আগামী দিনে এই আরও গবেষণা হলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।