গবাদী পশুর জন্য ভারতের প্রথম ভ্রাম্যমান (মোবাইল) আইভিএফ ভ্যানের উদ্বোধন করা হল গুজরাটের আমরেলিতে। রবিবার বছরের প্রথম দিনে মৎস্য, পশুপালন দপ্তরের মন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা ভ্যানটির উদ্বোধন করেন। গবাদী পশুদের জন্মের প্রক্রিয়া আরও উন্নত ও আধুনিক করে তোলার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পুরুষোত্তমের কথায়, আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ভ্যানটি ভারত সরকার ও অমর ডেয়ারির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত প্রকল্প।
প্রসঙ্গত ভ্রাম্যমান আইভিএফ ল্যাবরেটরির এই ধারণা পুরোনো হলেও পশুদের জন্য এমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। মূলত কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণের জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে গবাদি পশুর জন্মের প্রক্রিয়া দ্রুত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে এই প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হল। এই ব্যবস্থায় গবাদী পশু ব্যবসায়ীদের অনেকটাই উপকার হবে বলে ধারণা।
পুরুষোত্তম জানান, যারা গবাদি পশুর প্রতিপালন করেন, তাদের সুবিধা করে দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কৃত্রিম উপায়ে গবাদী পশুর ভ্রুণের নিষেক ঘটানো সম্ভব।
আইভিএফ ভ্যান কী?
আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়াটি কৃত্রিম উপায়ে সন্তান উৎপাদনের প্রক্রিয়া। গর্ভধারণে সমস্যা থাকলে পুরুষের শুক্রাণু ও নারীর ডিম্বাণু এই প্রক্রিয়ায় নিষিক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে টেস্ট টিউবের মধ্যে এই নিষেক প্রক্রিয়া চলে। ভ্রুণ তৈরি হলে তা কোনও সক্ষম নারীকে গর্ভে ধারণ করতে হয়। এই ভ্রণটি সেই গর্ভেই প্রতিপালিত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে ৪০ সপ্তাহ বা ২৮০ দিন পর ভ্রুণটি প্রসবের অবস্থায় পৌঁছায়। তবে পশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে একেকরকম সময় লাগে।
গবাদী পশুদের মধ্যেও অনেকের গর্ভধারণের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে গবাদী পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মূলত এমন সমস্যায় থাকা ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিতেই আইভিএফ মোবাইল ভ্যানের যাত্রা শুরু। এটি গর্ভধারণে অক্ষম এমন পশুদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংগ্ৰহ করে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় নিষেক ঘটাবে। এরপর নির্দিষ্ট গর্ভে ভ্রুণটিকে প্রতিপালন করা হবে। এভাবেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির পরিকল্পনা করা হয়েছে।