বয়স হলেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা।মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স তিরিশের কোঠা পেরোলেই হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হলেও আর্থ্রারাইটিস ও হাড়ের অন্যান্য সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এমনটা এখন প্রায় প্রতি বাড়িতেই দেখা যায়। অনেকে মনে করেন, বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা স্বাভাবিক। একে এড়ানো যায় না। আদতে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমাদের রোজকার জীবনযাপনের ধরনের জন্যই হাড়ের সমস্যার দেখা দেয়। এছাড়াও প্রতিদিনের ডায়েটে এমন কিছু খাবার থাকে, যা হাড়ের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এই অভ্যাসগুলো পাল্টালেই হাড় মজবুত ও শক্ত থাকে। পাশাপাশি, খাওয়ায় বদল আনলে শরীর অনেকদিন পর্যন্ত সবল থাকে।
১. একভাবে বসে কাজ করা: দীর্ঘসময় একভাবে বসে কাজ করলে হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। মূলত পেশির সঠিক সংকোচন ও প্রসারণের কারণেই হাড় মজবুত থাকে। নিয়মিত ভারোত্তোলন বা হাঁটাহাঁটি করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
২. সারাদিন ঘরে থাকা: হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ডি সবচেয়ে বেশি জরুরি। সারাদিন ঘরের ভিতরে থাকার ফলে সূর্যের আলো সেভাবে শরীরের সংস্পর্শে আসে না। এর ফলে সূর্যের আলো থেকে শরীর প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারে না। নিয়মিত সূর্যের আলোয় কিছুট্রণ সময় কাটানো জরুরি। এতে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৩. ধূমপান: বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা ধূমপান করেন, তাদের হাড়ের ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে কম। তামাক সেবন করলে এর ফ্রি র্যাডিকেল হাড় সৃষ্টিকারক কোষগুলোর ক্ষতি করে। এছাড়াও হাড়ের মধ্যে থাকা ধূমপান করলে শরীরে কর্টিসল বেড়ে যায়। কর্টিসলই হাড়ের স্টক কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে ক্যালসিটোনিন স্টকের পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪. মদ্যপান: অতিরিক্ত মধ্যপানও ধূমপানের মতোই ক্ষতিকারক। বেশি অ্যালকোহল পান করলে শরীরে কর্টিসলের পরিমাণ বাড়তে পারে। এর ফলে কমতে থাকে হাড়ের স্টক। এছাড়া অ্যালকোহল পান করলে ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোন দুটির উৎপাদন কমতে থাকে। এই হরমোন দুটো হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. বেশি লবণাক্ত খাবার খাওয়া: খাবারে অতিরিক্ত লবণ একেবারেই শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীর প্রস্রাব দিয়ে ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। এই ক্যালসিয়ামই হাড় গঠনের মূল উপাদান। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে হাড়ের ক্ষতি হয়। বিশেষজ্ঞরা রোজ ২৩০০ মিলিগ্রামের কম লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেন।