২০২২ সালে করোনা অতিমারির দুই বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু এই অতিমারি শেষ হওয়ার এখনও পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তার উপর আবার আছে ডেঙ্গু, মাঙ্কিপক্স, ও চিকুনগুনিয়ার মতো ভয়ানক রোগের চোখ রাঙানি। এইসবের মাঝে একটাই প্রশ্ন প্রায় সবাইকেই ভাবায়। সেই প্রশ্নটি হল, এই ধরনের ভয়ানক রোগগুলিকে প্রতিহত করতে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম কতটা প্রস্তুত? সেই কারণেই আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমের দুর্বলতা আমরা বুঝব কীভাবে তা জেনে রাখা উচিত।
নিম্নোক্ত কিছু লক্ষণের প্রতি সতর্ক থাকা উচিত।
১. অত্যাধিক মানসিক চাপ: অত্যাধিক মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় শরীরে লিম্ফোসাইটের অভাব থেকে। যার মানে শরীরে শ্বেত রক্তকনিকা তৈরি কম হচ্ছে। যা শরীরের ইমিউনিটি কমে যাওয়ার লক্ষণ। এই অবস্থা থেকে অনেকেই রোগ ও সংক্রমণের শিকার হতে পারেন।
২. খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ঠান্ডা লাগা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিক থাকলে ঠান্ডা লাগা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার সমস্যা খুব বেশি ভোগায় না। এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও খুব দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব। কিন্তু ইমিউনিটি কম থাকলে সাধারণ জ্বর সারতেও অনেক সময় লাগে।
৩. পেটের সমস্যা: আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমের প্রায় ৭০ শতাংশ নির্ভর করে পাচন তন্ত্রের উপর। যদি দেখা যায় হজম বা পেট খারাপের মতো সমস্যা অনেক বেশি ভোগাচ্ছে, তবে তা অবশ্যই ইমিউনিটি কমে যাওয়ার লক্ষণ।
৪. সংক্রামক রোগের শিকার হওয়া: যদি দেখা যায় কোনও ব্যক্তি বছরে দুই বারের বেশি ভাইরাল অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন, তবে অবশ্যই বুঝতে হবে তাঁর ইমিউনিটি যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হচ্ছে না।
৫. শরীরে অত্যাধিক ক্লান্তিভাব: খুব অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি চলে আসা বা দিনের অধিকাংশ সময় শরীরে ঝিমুনিভাব থাকা অবশ্যই শরীরে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার খুব বড় লক্ষণ।