চাল ধুয়ে আমরা সাধারণত সেই ফেলে দিই, কিন্তু এই চাল ধোয়া জলের যে কত উপকারিতা রয়েছে, না জানলে আফসোস করবেন।
চাল ধোয়া জলে উপস্থিত থাকে ভিটামিন বি, সেলেনিয়াম, ফোলেট, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। এগুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়ক। বিশেষত এটি ত্বক ও চুলের জন্য কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
১। হজমশক্তি বাড়ায়
চাল ধোয়া জল প্রাকৃতিকভাবে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে এবং পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পেট খারাপ, ডায়রিয়া থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
২। ত্বক ভালো রাখে
চাল ধোয়া জল ত্বকের ময়লা দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের দাগ ও ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। এটি ত্বককে মসৃণ করে ও প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে।
৩। চুল মজবুত করে
চাল ধোয়া জল চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত চাল ধোয়া জল ব্যবহারে চুল উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।
আরও পড়ুন - Drinking From Clay Pot Benefits: মাটির পাত্রে জল পান করার এই ৬টি উপকারিতা, অমৃতের চেয়ে কম নয়
৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
চাল ধোয়া জলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। যা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগ প্রতিরোধেও অনেক উপকারী।
৫। গাছের জন্য উপকারী
শুধু মানবদেহের জন্যই নয়, চাল ধোয়া জল গাছের জন্যও দারুণ উপকারী। এতে থাকা খনিজ উপাদান গাছের সুবৃদ্ধি বজায় রাখে এবং গাছকে পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহে সাহায্য করে। বাড়িতে গাছের টব থাকলে তাতে এই চাল ধোয়া জল দিতে পারেন। এতে গাছ সহজে মরবে না এবং গাছের পাতা দীর্ঘদিন সতেজ থাকবে।
আরও পড়ুন - Summer Tips: এই গরমে নিজের গায়ের দুর্গন্ধেই টেকা দায়! ৬ খাবারেই সুগন্ধ ফিরবে
এছাড়াও ওজন কমাতে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। অনেকেই ওজন কমানোর টোটকা হিসেবে এই জল পান করেন। তাই এবার থেকে চাল ধোয়া জল ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে রেখে দিন এবং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।