বেঙ্গালুরুর যুবক শেখ আব্দুল সত্তার। স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণ হওয়ার পথে বেশ কয়েকটি বাধা এসে দাঁড়ায়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধাটি হল অর্থসংকট।
আব্দুলের বাবা পেশায় ঠিকাকর্মী। কোনও দিনই অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয় তাঁদের। কিন্তু তবু আব্দুল স্বপ্ন দেখেছেন। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পরে বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু অর্থের অভাবে কলেজ মুলতুবি রাখার মতোই অবস্থা হয়েছিল। তখনই আব্দুল সিদ্ধান্ত নেন নিজের পড়াশোনার তো বটেই সংসারের খরচও তুলতে হবে তাকে। তাই শুরু হয় কঠোর পরিশ্রম।
কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নিজের কথা বলতে গিয়ে আব্দুল লিখেছেন, ফুড ডেলিভারি সংস্থার হয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। তার আগে একাধিক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার হয়ে গাড়িও চালাতে হয়েছে তাঁকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে সারা রাত কাজ করতে হয় তাঁকে। সকালে বাড়ি ফিরে কোনও রকমে একটু খেয়েই ছুটতেন কলেজে। এভাবেই চলেছে দিনের পর দিন।
আব্দুল লিখেছেন, প্রথম প্রথম এই কাজ করতে গিয়ে লজ্জা লাগত তাঁর। কিন্তু বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েও অনেক কিছু শিখেছেন বলেও জানিয়েছেন। হালে একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি পেয়ে গিয়েছেন আব্দুল। বেতনের অঙ্কও নাকি খারাপ নয়। জীবনযাপন কি বদলাতে চলেছে?
আব্দুল জানিয়েছেন, এখনই নয়। প্রথমেই তাঁর লক্ষ্য পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে যত টাকা ধার হয়েছে, তা শোধ করার। তার পরে হয়তো আর একটু ভালোভাবে বাঁচা। এখনই তার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন স্বপ্নপূরণ করা এই যুবক।