পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ দুধ অনেকেরই সকালের প্রথম পানীয়। কথায় আছে, বৃদ্ধির জন্য প্রথম ও প্রধান পানীয় হল এটি। দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মতো শরীরের প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ পদার্থ। এছাড়াও নিয়মিত দুধ খেলে হাড় শক্ত হয়। এতে থাকা প্রোটিন শরীরে শক্তি জোগায়। দুধের পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তবে, নানারকম গুণ থাকলেও কিছু খাবারের সঙ্গে দুধ না খাওয়াই ভালো। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের কথায়, এটি খাওয়ার পর কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। দুধের সঙ্গে বা দুধ খাওয়ার পর নির্দিষ্ট সে খাবারগুলো খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কখনও কখনও খাবারগুলো হজমের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের পরিভাষায় দুধের সঙ্গে এই খাবারগুলো খেলে পিত্ত দশা বেড়ে যেতে পারে।
১.দই: দই ও দুধ কখনই একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের কথায়, দুধের পর দই বা দইয়ের পর দুধ খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর থেকে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. কাঁঠাল: দুধ খাওয়ার পর কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে ত্বকের নানা সমস্যা যেমন চুলকানি ও সোরিয়াসিসের মতো গুরুতর চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, দুধের পর কাঁঠাল খেলে পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। পাকস্থলী দুটি খাবার একসঙ্গে হজম করতে পারে না বলে এমন ঘটনা ঘটে।
৩. টকজাতীয় ফল: দুধ ও টকজাতীয় ফল কখনোই একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। এতে খাবারগুলোর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। একইসঙ্গে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। আয়ুর্বেদ মতে, দুটি একসঙ্গে খেলে বমিও হতে পারে। তাই টকজাতীয় ফল খেলে অন্তত দু ঘন্টা পর দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. মাছ: চুল থেকে চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তবে দুধের সঙ্গে মাছ খাওয়া আয়ুর্বেদে নিষিদ্ধ। মাছ খাওয়ার পর দুধ খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শাস্ত্র মতে, মাছের পর দুধ খেলে পেটে ব্যথা ও ত্বকে সাদা সাদা ছোপ দেখা দিতে পারে। যদিও বিজ্ঞানে মাছ খাওয়ার পর দুধ খাওয়াতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
৫. বিউলির ডাল: বিউলির ডাল খাওয়ার পরে পরেই দুধ খেলে বমি, পেটে ব্যথা, মাথা ধরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দুটো খাবার কম সময়ের ব্যবধানে খেলে শরীর ভারী লাগতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, বিউলির ডাল খাওয়ার অন্তত দু ঘন্টা পরে দুধ খাওয়া উচিত।