মাংস একটু বাসি হয়ে গেলে তার স্বাদ বেশ জমাটি হয়, ঝোলও খানিকটা চাপ চাপ হয়, ফলে তা দিয়ে ভাত মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা! এমনভাবে কেউ বাধ্য হয়ে আবার কেউ মনের আনন্দে বাসি খাবার খেয়ে থেকে যান নিত্যদিনের ব্যস্ততার মাঝে। আবার অনেকে রেডি-টু-ইট খাবার খেয়ে দিন গুজরান করে দেন। তবে জানেন কি, তাজা খাবার খাওয়ার গুরুত্ব কি? কেন উচিত তাজা খাবার খাওয়া?
নিউট্রিশিয়ানিস্ট এইলিন ক্যানাডি বলছেন, 'সহজেই হজম হয়ে যায় এই টাটকা খাবার। খাবারে উপস্থিত ক্ষতিকারক মাইক্রো অর্গানিজম ধ্বংস হয় রান্নার সময়। পুষ্টির দিক থেকেও টাটকা রান্না অনেক বেশি ভাল, ফ্রিজে রাখা খাবারের থেকে।' এছাড়াও বাড়িতে রান্না খাবারে বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্য বুঝে করা হয় রান্না। আর সেজন্য রান্নায় তেলও থাকে কম।
সঠিকভাবে খাবার না রাখলে কী কী হতে পারে?
খাবারের সঠিক স্টোরেজ না হলে, তাতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বা ভিটামিন সি-এর গুণ চলে যায়। সঠিক তাপমাত্রায় যদি খাবারকে রাখা না হয়, তাহলে ডাইরিয়ার মতো রোগ হতে পারে। এছাড়াও বাড়িতে রান্না করা খাবারের গুণ দেখে নিন। ঘরে মানিপ্ল্যান্ট রাখলে কি সত্যিই অর্থলাভ হয়? কেন এই গাছকে এত শুভ মনে করা হয়
কেন খাবেন বাড়িতে রান্না করা খাবার?
-প্যাকেজড ফুড বা রেডি-টু-ইট খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন, চিনি, আর প্রিজারভেটিভস থাকে। এতে পেটের সমস্যা হয় আর মেদও বাড়তে থাকে।
-খাবার একাধিকবার জাল দিলে বা গরম করতে থাকলে তাতে পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়। এদিকে প্যাকেজড ফুডে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যার খুবই ক্ষতিকারক দিক থাকে।
-বাড়িতে রান্না করা খাবার, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। বলছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। এতে একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার যে অভ্যাস রয়েছে তা শরীরের সঙ্গে মনকেও আনন্দ দেয়। ফলে মন থাকে চাঙ্গা।
-রেস্তোরাঁর খাবারে সাধারণত থাকে তেল। যা ট্রান্স ফ্যাটকে আরও আশকারা দেয়।